বেলা ১২:১৫ নাগাদ দুজনকে ইডি আধিকারিকেরা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায়। আগে থেকেই কলকাতা পুলিশের প্রচুর ফোর্স হাসপাতাল চত্বরে মোতায়েন ছিল। তবে আজ যাতে কেউ কিছু ছুঁড়ে মারতে না পারে, তাই ইমারজেন্সি থেকে অনেক দূরে সবাইকে সরিয়ে দিয়েছিল পুলিশ।
advertisement
পার্থ ও অর্পিতাকে হাসপাতালে ঢোকানোর আগে থেকেই হাসপাতালে ইমার্জেন্সির দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ইএসআইতে ডাক্তার দেখাতে আসা রোগী ও রোগীর বাড়ির আত্মীয়দের আগে থেকেই এক দিকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রাক্তন মন্ত্রী বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত প্রায় দুঘন্টা বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল রোগীদের। ইমার্জেন্সির রাস্তায় দেখা গেল প্রতি দশ ফুট অন্তর পুলিশ দাঁড়িয়ে রয়েছে। কেউ ডাক্তার দেখানো কিংবা টিকিট ঘরের দিকে গেলেই তাঁকে উল্টো দিকে তাড়িয়ে দিচ্ছিল পুলিশ।
এমনও দেখা গেল, হৃদরোগে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকেও ,হাসপাতালের রেস্টুরেন্টের দিকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের নির্দেশেই নাকি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর টিকিটের কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এদিন।
বেশ কয়েকটি জায়গায় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীরা রীতিমতো উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সবাই দাবী করেন, গতদিন শুভ্রা ঘোড়ুই নামে যে মহিলা জুতো ছুঁড়ে মেরেছিলেন, তিনিই ঠিক করেছিলেন।
বেশ কয়েকদিন ধরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখার্জিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনার ফলে রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা হচ্ছে। গতকালের আমতলার গৃহবধূ পার্থ চ্যাটার্জির গাড়িতে জুতো দিয়ে মারাতেই পুলিশ প্রশাসন বেশ সজাগ ছিল আজ।
পুলিশ একটু বেশিই কড়াকড়ি দেখানোয় বুধবার অনেকেই চিকিত্সার জন্য এসেও ফিরে যান। ফলে তাঁদের মধ্যেও ক্ষোভ বেড়েছে।