সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, বহু রোগীর দেহে অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট কমছে না। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে অতি দ্রুত। ফলে মশাবাহিত এই রোগের চিকিৎসায় জটিলতা চলতি মরশুমে আরও বাড়ছে। সাধারণত ডেঙ্গুতে কেউ আক্রান্ত হলে রোগীর দেহে প্লেটলেট কমে যায়, একথা কম বেশি প্রায় সকলেরই জানা। প্রচলিত সেই ধারণাও পাল্টাতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: পুজোর আগেই শিল্প বিনিয়োগে সুখবর, আদানি গোষ্ঠীকেই তাজপুর সমুদ্র বন্দরের দায়িত্ব দিল রাজ্য
advertisement
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সম্ভবত এর মূলে রয়েছে ‘সাইটোকাইন স্টর্ম’। যে শব্দটি সাধারণ মানুষ শুনে এসেছেন মূলত কোভিড ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে। বহু রোগীর মৃত্যু বা শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতির কারণ হয়ে উঠেছিল সেটি।
চলতি মরশুমে ডেঙ্গু সংক্রমণের কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিঃসৃত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সাইটোকাইন বা বিশেষ রাসায়নিক। ইমিউন সিস্টেমের এই তীব্র প্রতিক্রিয়ায় শরীরের অভ্যন্তরে কার্যত ‘ঝড়’ ওঠার মতো ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে। আসলে শরীরের বিভিন্ন রক্তবাহী নালী থেকে জলীয় অংশ বেরিয়ে জমা হচ্ছে বিভিন্ন অঙ্গে। ফলে রক্তের মোট পরিমাণ কমে ব্যাহত হচ্ছে অক্সিজেন সংবহন ব্যবস্থা। তার জেরেই দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট।
আরও পড়ুন: বারবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বড় ভোলবদল, রইল আপডেট
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য ভবনের এক আধিকারিক বলেন, ''আমরা দেখছি, জটিল ও আশঙ্কাজনক বেশ কিছু ডেঙ্গু রোগীর শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন-এর সূচক ‘ব্লাড ফেরিটিন লেভেল’ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সূচক থাকার কথা ২৩ এবং মহিলাদের ১১। কিন্তু ডেঙ্গু আক্রান্ত কিছু রোগীর ক্ষেত্রে তা হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, 'ডেঙ্গুর এই বাড়বাড়ন্তের সময় বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।'