প্রতিবছরের মতোই এবছরও স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে ক্যাম্পে গিয়েছিলেন পাঠভবনের শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ চারদিনের এই সফর সেরে ফেরার কথা ছিল কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে৷ সেই হিসেবে সব টিকিট কাটাও ছিল৷ কিন্তু নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হিংসার জেরে ভেস্তে গেল সব পরিকল্পনা৷ রেলপথে মারাত্মক গন্ডগোল৷ সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে, বাসে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ৷ সংবাদমাধ্যমে এসব দেখে ভীষণভাবে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন অভিভাবকরা৷ স্কুল কর্তৃপক্ষও পড়েছিলেন চিন্তায়৷ একসঙ্গে ১২৮জন পড়ুয়া সহ ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে সুরক্ষিত ফেরানো হবে কীভাবে? যোগাযোগ করা হয় এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে৷ চার্টার ফ্লাইটে করে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়৷ কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন নানাবিধ অনুমতি৷ পাঠভবনের প্রধান শিক্ষিকা জানালেন, কলকাতা ও দিল্লি এয়ারপোর্ট অথোরিটির আধিকারিকরা অসম্ভব সাহায্য করেছেন৷ তাদের কাছে আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ৷ আমাদের এই উদ্যোগে যাঁরা সর্বতোভাবে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তারা হলেন অমিতাভ গুপ্ত, সোমা পাল, ভাস্কর রায়, মিস্টার টোপো, দিব্যেন্দু হালদার ৷ এঁরা না এগিয়ে এলে পড়ুয়াদের নিরাপদভাবে উড়িয়ে আনা সম্ভব হত না৷
advertisement
ফ্লাইটের পাশাপাশি সড়কপথে পড়ুয়াদের ফেরানোরও পরিকল্পনা করেছিল স্কুল৷ সেই মতো কথা বলা হয়েছিল মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে৷ তিনিও সবরকম আশ্বাস দিয়েছিলেন৷ পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সাহায্যের হাত৷ তবে শেষ পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ চার্টার ফ্লাইটেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় সকলকে৷ এর জন্য প্রায় সাড়ে চোদ্দ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের৷ এত বিপুল পরিমাণ অর্থ কী স্কুলই খরচ করেছে? প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন প্রাণের দাম তো আরও বেশি৷ মোট ১৫৬জনের দায়িত্ব ছিল আমাদের ওপর৷ সেটা তো অস্বীকার করা যায় না৷ এবার দেখা যাক, অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে৷