অনেক বিদায়ী কাউন্সিলররাই টিকিট পাননি। এই নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয়েছে কারও কারও মনে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র সায়ন দেবের মতো তরুণ মুখ প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত দল অনুমোদন করেনি তাঁকে। এই নিয়ে সায়নদেব ট্যুইটে নিজের অভিমানের কথা তুলে ধরে লেখেন, ''আত্মত্যাগ করতে বলার সময় ওঁরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু, আত্মত্যাগ করার পর ওঁরা বলল, এখনও সময় হয়নি।''
advertisement
আরও পড়ুন: CPIM-র আগে তৃণমূল, ত্রিপুরা পুরভোটের প্রাথমিক ফলে জাঁকিয়ে বসছে ঘাসফুল
প্রসঙ্গত,রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ বসু, মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা, স্বর্ণকমল সাহার ছেলে সন্দীপন সাহাও টিকিট পেয়েছেন। তারক সিং সহ তাঁর ছেলে ও মেয়েও টিকিট পেয়েছেন। তাঁরা রাজনীতির মঞ্চে আগেও এসেছেন। কিন্তু, সরাসরি তৃণমূলের সংগঠন সামলালেও প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাননি শোভনদেবের পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়। যদিও এসবকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: 'কলকাতার প্রতি আলাদা ভালোবাসা'! তবে কি? বাবুল সুপ্রিয়র এক মন্তব্যেই ফের তোলপাড়
তাঁর কথায়, ''সর্বসম্মতিক্রমে দলের প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ক্ষোভ বিক্ষোভের বিষয়গুলি আলোচনাক্রমে মিটে যাবে। বিরোধীরা এসব নিয়ে যতই জোর চর্চা করুক না কেন, ওদের সব স্বপ্ন অধরাই রয়ে যাবে। সারা বছর মানুষের পাশে কে থাকে, তা নাগরিকরা ভালই জানেন। তাই আমরা নিশ্চিত, কলকাতাবাসী সব ওয়ার্ডেই আমাদের প্রার্থীদেরই সমর্থন করবেন।''এক ব্যক্তি এক পদ' নীতি কিংবা প্রার্থী তালিকায় পরিবারতন্ত্রের ছায়া নিয়ে বাম বিজেপি ও কংগ্রেসের কটাক্ষের জবাব দিয়ে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ বাবু বলেন, ''বিরোধীরা যতই অপপ্রচার কুৎসা করুক না কেন রাজনীতির ময়দানে খেলতে যখন নেমেছি তখন আমাদের লক্ষ্য ১৪৪টি গোল দেওয়া।''