এদিন আদালতে যাওয়ার পথে পার্থ বলেন, ‘‘বিনা বিচারে ১ বছর আমাকে আটকে রেখেছে৷’’ এরপরে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘‘বিনা বিচারে বলছেন কেন?’’ পার্থ উষ্মাপ্রকাশ বলেন, ‘‘বিচার হচ্ছে না তাই৷’’
আরও পড়ুন: ছাত্রীকে ধর্ষণ করে স্কুলের শৌচালয়ে বন্দি! স্কুল শিক্ষকের বীভৎস কীর্তি ফাঁস এবার
গাড়ি থেকে নেমে কোর্ট লক আপে ঢোকার সময় পার্থর বলেন, ‘‘কে কী বলল আমাদের কিছু এসে গেল না৷ আমি এটুকু বুঝেছি আমাকে জোর করে এখানে আটকে রাখা হয়েছে৷’’
advertisement
শুধু তাই নয়, মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্রের নাম তুলে পার্থ প্রশ্ন করেন, এখন কোথায় বন্দি মুক্তি আন্দোলন করেছিলেন, এখন তাঁরা কোথায়?
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যের পরে প্রতিক্রিয়াও জানান সুজাত ভদ্র৷ তাঁর কথায়, ‘‘বিনা বিচারে বোধহয় বলা যায় না৷ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলছে৷ একমাত্র আদালতই তাঁকে জামিন মঞ্জুর করতে পারেন৷ নিম্ন আদালতে না হলে উনি উচ্চ আদালতে যেতে পারেন৷ তাছাড়়া, যতটুকু আমার মনে হয়, উনি রাজনৈতিক বন্দি নন৷ চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে।’’
গত বছর ২২ জুলাই সকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি আধিকারিকেরা ঢুকেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে। সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত চলেছিল তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ। এরপর পরের দিন ভোরে ইডি গ্রেফতার করে তৃণমূল সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
তারপর থেকে বছরভর প্রেসিডেন্সি জেলেই দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। গত একবছর ধরে বারবার জামিনের আবেদন জানালেও তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। যে কোনও শর্তে জামিনের কাতর আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। এখন প্রেসিডেন্সি জেলই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বর্তমান ঠিকানা।