অভিযুক্ত ললিত ঝায়ের দাদা শম্ভু জানান, তাঁদের মূল বাড়ি বিহারের দ্বারভাঙা। সেখান থেকে তাঁদের বাবা ৪০ বছর আগে মধ্য কলকাতার মুক্তারাম স্ট্রিটে আসেন৷ সেখানেই স্ত্রী-ছেলেদের নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি৷ ১৬-১৭ বছর আগে প্রথম দ্বারভাঙা থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ললিত৷ তারপরে শম্ভু৷ তবে করোনার সময়, ওঁরা সপরিবারে বাগুইআটির একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন৷ বর্তমানে সেখানেই বাবা, মা ও তাঁর আরেক ভাইয়ের সঙ্গে থাকতেন ললিত৷ শম্ভু থাকতেন আলাদা৷
advertisement
গত ১০ ডিসেম্বর ললিত তাঁর বাবাকে দ্বারভাঙার ট্রেনে তুলে দেন। সেই সময়েই দাদা শম্ভুর সাথে তাঁর শেষ কথা হয়।
দাদা শম্ভুর দাবি, ললিত বরাবরই পড়াশোনায় ভাল৷ মেডিক্যালের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এক সময়। কোনও কারণে সেটা হয়ে ওঠেনি। এখন এলাকায় বাচ্চাদের টিউশন দিতেন। ২১৮, রবীন্দ্র সরণির ভাড়ার ঘরে টিউশন পড়িয়েই সময় কাটাতেন ললিত ঝা৷ ললিত বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন৷
তবে বুধবারের ঘটনা ললিতের দাদা কিছুই জানতেন না বলে দাবি তাঁর৷ ভাই কেন এমন করল, কার সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল সেসবও তিনি কিছু জানেন না বলে জানান শম্ভু৷
শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন বুধবারের সংসদ ভবন ও সংসদ ভবন চত্বরে ঢুকে পড়ে হুলস্থূল কাণ্ড বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন এক মহিলা সহ ৪ ব্যক্তি৷ তাঁদের চার জনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ৷ গ্রেফতার হন সাগর শর্মা এবং ৩৫ বছরের ডি মনোরঞ্জন, নীলম সিং ওরফে নীলম আজাদ এবং অমল শিণ্ডে৷ বাকি দু’জনের মধ্যে বিক্রমকে গতকাল রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ তবে কলকাতার ললিত ঝা এখনও ফেরার৷
আরও পড়ুন:‘ভগৎ সিং’-এর ভক্ত! পেশায় বেকার…এবার সামনে পার্লামেন্ট কাণ্ডের ৬ চক্রীর যোগসূত্র
দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, গত কালের গোটা ঘটনার মূল চক্রী ছিলেন মূলত ডি মনোরঞ্জন এবং এই ললিত ঝা৷ সাগর শর্মা যখন সাংসদদের বেঞ্চে উঠে পড়েছেন, ডি মনোরঞ্জন যখন হলুদ ধোঁয়া ওড়াচ্ছেন, তখন সেখানেই দর্শকাসনে দাঁড়িয়ে ঘটনার ভিডিও করেছিলেন এই ললিত৷ পরে সেখান থেকেই ফেরার হয়ে যান তিনি৷ শেষবার তাঁকে রাজস্থানে দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর৷
পুলিশ জানাচ্ছে, এই ৬ জনই সোশ্যাল মিডিয়া গ্র্রুপ ‘ভগৎ সিং ফ্যানক্লাবের সদস্য’৷ গত ৪ বছর ধরে এঁদের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে৷ গত ৩ মাস ধরে এঁরা এই পার্লামেন্টে ‘স্মোক অ্যাটাকে’র পরিকল্পনা করছিলেন৷ এমনকি, বুধবারের ঘটনার আগেও পার্লামেন্টে রেকি করে গিয়েছিল তাঁরা৷