টানা সাত দিন হতে চলল এই অনশন, শারীরিক পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে। এ বার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের রেশ আরও বাড়াতে বৃহস্পতিবার অভিভাবকদের প্রতীকী অনশনের ডাক দিলেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা। এর পাশাপাশি বিক্ষোভরত ছাত্ররা শনিবার একটি নাগরিক কনভেনশনের ডাক দিয়েছে তাদের আন্দোলনের সমর্থনে।
প্রসঙ্গত ছাত্র সংসদ ভোটের দাবিতে গত বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের চিকিৎসক ছাত্রদের একাংশ।
advertisement
প্রসঙ্গত ২২ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদের ভোট করবে বলে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথমে জানালেও পরে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সম্মতি লাগবে বলে জানান। আর এর পরেই চিকিৎসক ছাত্রদের একটি বড় অংশ গত সপ্তাহের সোমবার থেকে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুপার-সহ কলেজ কাউন্সিলের সদস্যদের ঘেরাও করে। পরবর্তীতে ঘেরাও প্রত্যাহার করলেও অবিলম্বে ছাত্র সংসদ করানোর দাবিতে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালীন অনশনে বসে ছাত্ররা। এরই মাঝে স্বাস্থ্যসচিব নারায়নস্বরূপ নিগম স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী হাসপাতালে এসে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে ছাত্রদের অনশন তুলতে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন : অপেক্ষা আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে কল্লোলিনীতে আজ চাঁদের হাট
সোমবার স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য হাসপাতালে এসে ছাত্রদের অনশন প্রত্যাহার করতে অনুরোধ জানান। তবে আন্দোলনকারী ছাত্ররা পরিষ্কার জানিয়ে দেন অবিলম্বে ছাত্র সংসদের ভোট করাতে হবে, না হলে কলেজের পঠনপাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বুধবার দুপুরে মেডিক্যাল কলেজ থেকে ধর্মতলা হয়ে আবার মেডিক্যাল কলেজ পর্যন্ত এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন আন্দোলনকারী ছাত্ররা। এই মিছিলে কলকাতার অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ গুলি-সহ প্রেসিডেন্সি কলেজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রছাত্রীরাও অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন : রানির এই সঙ্কটে আরও একবার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিলেন শাহরুখ
আন্দোলনকারী ছাত্রদের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে অভিভাবকদের ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন শুরু হবে। প্রশাসন এবং কর্তৃপক্ষের তরফে সংসদ নির্বাচনের তারিখ স্থির না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। রাজ্য সরকার গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করতে চাইছে না বলে অভিযোগ তুলে তারা জানাচ্ছেন, রাজ্যের সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়েই অবিলম্বে গণতন্ত্র বজায় রাখার জন্য ছাত্র সংসদের ভোট করাতে হবে। রাজ্য সরকার সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক উপায়ে দীর্ঘকাল ধরে ইউনিয়ন ভোট করছে না বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁরা।