বুধবার মনোনয়নের পর রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুলিশের খাতায় ওঠা অপরাধের যে হিসেব তুলে ধরেছে তাতে মাথায় হাত রাজ্যবাসীর। ভোটের আগেই এমন পরিস্থিতি, ভোটের দিন কী হবে, প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনকেন্দ্রিক হিংসায় এখনও পর্যন্ত ২০০০ লোককে আটক করা হয়েছে। ৬২ জন আহত। ১৫০০ জন জামি-অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ৪০০০ লাইসেন্স আর্ম জমা নেওয়া হয়েছে।
advertisement
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পরই নিরাপত্তার বিষয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে ১০০ শতাংশ বুথকেই স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেইমতো নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, যেখানে যেখানে গন্ডগোল হচ্ছে, সেই জায়গাগুলোতে আরও বেশি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন তীক্ষ্ণ নজর রাখছে সর্বত্র। পাঁচ জেলায় বিশেষ নজর রাখছে কমিশন। তালিকায় রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর ও জলপাইগুড়ি। এ বিষয়ে কমিশনের প্রথম নির্দেশ, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে। কমিশনের নির্দেশ, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে যাতে কারও কোনও অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন। প্রত্যেক বুথে পানীয় জল এবং ছাউনির ব্যবস্থা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বিজেপির প্রচারে বেরিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি, নেতাকে দেখেই যা কাণ্ড ঘটল ভাবতে পারবেন না!
বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কোনও ভাবেই যাতে কেউ ঢুকে না পড়ে, তা প্রথম দিন থেকে নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনের কাছে যাতে কোনও অভিযোগ না আসে। এছাড়া বয়স্ক ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে বুথে। কমিশনের আইনকে সম্পূর্ণ মান্যতা দিতে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার কড়া বার্তা, কোনও গাফিলতি কমিশন বরদাস্ত করবে না। সূত্রের খবর, শনিবার থেকে রাজ্য পুলিশের সমস্ত বিভাগের সব কর্মী, আধিকারিকের ছুটি বাতিল করা হচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটের কারণে। ভোটের ফলপ্রকাশ অর্থাৎ আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত বাতিল করা হচ্ছে সব ছুটি।
অভিজিৎ চন্দ