প্রসঙ্গত, ওই ঘটনায় প্রথমে যে দাবি করা হয়েছিল, সেই ‘ইভটিজিংয়ের’ তত্ত্ব ইতিমধ্যেই খারিজ করে দিয়েছে পুলিশ। বরং পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, দুটি গাড়ির রেষারেষির জেরেই ঘটে দুর্ঘটনা। তবে, কী কারণে বাবলুকে গ্রেফতার করা হল, তা এখনও স্পষ্ট করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু অধিকারীকে আমি চিহ্নিত করেছিলাম’, নেতাজি ইন্ডোরে বিস্ফোরক অভিষেক! দিয়ে দিলেন ‘টার্গেট’
advertisement
ইতিমধ্যেই পানাগড়ের ঘটনায় মৃত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়িতে থাকা তিন আরোহীর গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয় পুলিশের তরফে। তারপরেও একের পর এক প্রশ্ন উঠছে। যদিও এখনও প্রশ্ন উঠছে, শুধুই কি রেষারেষির বলি সুতন্দ্রা? রেষারেষির কারণ কি শুধুই গাড়িতে ধাক্কা লাগা? কেন বাবলু যাদবের গাড়িকে ধাওয়া করেছিল সুতন্দ্রাদের গাড়ি? যে প্রশ্নগুলির উত্তর এখনও অধরা।
অনিচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগে সুতন্দ্রার মৃত্যুর তদন্ত করছে পুলিশ। কিন্তু তদন্ত কতদূর এগোল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনও ধোঁয়াশা ভরা। এরই মধ্যে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সুতন্দ্রার মা। শেষমেশ পুলিশের তদন্তের উপর ভরসা করছেন পানাগড় কাণ্ডে মৃত তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মা। এখন সন্দেহের তালিকায় রাখছেন সেদিন সুতন্দ্রার গাড়ির চালক ও গাড়িতে সঙ্গে থাকা বন্ধুদেরও। মৃত তরুণীর মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ”কিছু একটা গোপন করা হচ্ছে। কে করছে, কেন করেছে, বলতে পারব না। আমি কনফিউজড।”
সুতন্দ্রার মা তনুশ্রীদেবী আরও বলেন, ”আমরা সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখছি, তাতে বলছি সাদা গাড়ি হোক নীল গাড়ি হোক, আমাদের গাড়ি হোক বা যেই অপরাধী হোক, তার ঠিক ঠিক তদন্ত করে তার শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।” তিনি বলেন, ”আমি সিসিটিভি ফুটেজে দেখলাম সাদা গাড়িটা আগে যাচ্ছে, পিছনে আমাদের গাড়িটা খুব জোরে যাচ্ছে। আমার প্রশ্ন এত জোরে কেন চালাচ্ছিল? ও তো দাঁড়িয়ে যেতে পারত। গাড়িতে যারা ছিল, তারা কেন ড্রাইভারকে বলেনি এত জোরে না চালাতে। তদন্তের স্বার্থে মেয়ের গাড়ির ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ করুক পুলিশ।”