পদ্মা নদীর ওপর এই নয়া সেতু আত্মনির্ভর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের আত্মিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে, বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: "কেন ২১ জুলাইতেই সভা করতে হবে, কী এমন আছে ওই দিনে?" আদালতের প্রশ্নে অস্বস্তিতে বিজেপি!
advertisement
আরও পড়ুন: যানজটের আশঙ্কা, কলকাতার বহু বেসরকারি স্কুলে ছুটি, কোথাও হবে অনলাইন ক্লাস
গতবছর, বাংলাদেশের রংপুর জেলার বিখ্যাত হাড়িভাঙা আম মমতাকে উপহার দিয়েছিলেন হাসিনা। রাজ্যে প্রায় ৬৫ মন আম এসেছিল ওপার বাংলা থেকে। ওই আমের নাম আগে শুনলেও কখনওই খাননি মুখ্যমন্ত্রী। তা জানিয়ে তিনি চিঠিতে লেখেন, ‘শ্রদ্ধেয়া হাসিনা দি, আপনার পাঠানো আম পেয়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। বাংলাদেশের রংপুর জেলার হাড়িভাঙ্গা আমের নাম আমি শুনেছিলাম। আগে কখনও খাইনি। আপনি এত আম পাঠিয়েছেন যে, আমি দু’হাত ভরে বিলিয়েছি। আমি সত্যিই আপ্লুত। শ্রদ্ধা নেবেন।’
প্রসঙ্গত, দু’যুগ আগে পদ্মা সেতু নিয়ে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। পদ্মা নদীর উপর এঁকেবেঁকে চলে গিয়েছে পদ্মা সেতু। সংযোগ তৈরি করেছে বাংলাদেশের মধ্যে এবং পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে। ২০০১ সালের ৪ জুলাই মাওয়া প্রান্তে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন হাসিনা। মাঝে অনেক জল গড়িয়ে ২০০৯ সালে সেতুর নয়া নকশা তৈরির কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ২০১০ সালে। এর পর ২০১০ সালে হাসিনা সিদ্ধান্ত নেন, বাংলাদেশের নিজ অর্থেই তৈরি হবে সেতু। তবে ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে এই সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়। এর পর ২,৭৫৭ দিন অর্থাৎ ৬৬,১৬৮ ঘণ্টা ইঞ্জিনিয়ার, শ্রমিক এবং অন্যান্য কলাকুশলীর নিরলস প্রচেষ্টার পর তৈরি হয় এই সেতু।