নাগরাকাটা কাণ্ডে রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াতে আসরে রাজ্য বিজেপি। ২৬-এর ভোটে বদলের পাশাপাশি বদলার হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর। বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল। উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর আক্রমণের ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
advertisement
এদিনের মিছিলে হাজির ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। মিছিল শেষে শুভেন্দুর হুঙ্কার, “গত বেশ কয়েকমাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন বিজেপির নেতানেত্রীরা। এই সরকার আদিবাসী বিরোধী। মিছিল শেষ মানে আন্দোলন শেষ নয়, আজ আন্দোলনের শুরু। বদলা চাইলে বদল করতে হবে। ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদলা নেব।”
অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভয়াবহ দুর্যোগের পর ত্রাণ বণ্টনের কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন তিনি। আজ দার্জিলিংয়ে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ বন্টন থেকে শুরু করে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পর্যালোচনা করেন তিনি। সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় নিয়ে আরও একবার পড়শি দেশ ভুটানের সমালোচনায় সরব হন তিনি।
এদিন মিছিল শেষে শুভেন্দু বলেন, “গত বেশ কয়েকমাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এই সরকার আদিবাসী বিরোধী। মিছিল শেষ মানে আন্দোলন শেষ নয়। আজ আন্দোলনের শুরু। বদলা চাইলে বদল করতে হবে। ছাব্বিশে বদল হলে সুদে আসলে আমরা বদলা নেব।” কালীপুজোর পর আদিবাসী সংগঠনগুলিকে রাস্তায় নামার ডাক দিলেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে বলে দিলেন, “বদলও হবে, বদলাও হবে।” তবে আগামী দিনে রাজ্য রাজনীতিতে বদল ও বদলা প্রসঙ্গ যে অন্য মাত্রা যোগ করতে চলেছে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।