রাজ্যো করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই পরিস্থিতি বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে রাজ্যে পুরভোটের দিনক্ষণ পুনর্বিবেচনা করার আবেদন উঠেছিল। তাই নিয়ে মামলাও হয় কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে রাজ্যের পক্ষ থেকে কোভিড বেধে মেনে নির্বাচনের কথা বলা হলেও অনেকেই সংক্রমণের কারণে নির্বাচন বন্ধ রাখার দাবি তোলেন। সেই জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতেই কমিশনকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
advertisement
আরও পড়ুন- চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক পুরভোট, কমিশনকে পরামর্শ হাইকোর্টের
আগামী ২২ জানুয়ারি শিলিগুড়ি, বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল পুরনিগমে নির্বাচন রয়েছে। ইতিমধ্যে সর্বত্র প্রার্থী ঘোষণা থেকে শুরু করে পুরোদমে প্রচারও চলছে। তবে প্রচার করতে হচ্ছে কোভিড বিধি মেনে। কোথাও নিয়ম ভাঙলেই তা কড়া হাতে নিয়্ন্ত্রণ করছে প্রশাসন। আদালতেও রাজ্য ও কমিশনের পক্ষ থেকে সে কথা বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। শুনানিতে যুক্তি-প্রতিযুক্তির পর আদালত সংবিধানের ২৪৩-এর জেড (এ) ধারা উল্লেখ করে বলে, ভোট পিছনোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে কমিশনই।
আরও পড়ুন: রাস্তায় হঠাৎ খুলে গেল মশারি, তার মধ্যে... চন্দননগরে বিজেপি-র অভিনব কৌশল
এই নিয়ে প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলই একবিন্দুতে এসে দাঁড়িয়েছে। তৃণমূল নেতা সৌগত রায় এই নিয়ে বলেছেন, হাইকোর্টের রায় উপেক্ষা করা উচিত নয়। আবার বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য স্বাগত জানিয়েছেন হাই কোর্টের রায়কে। আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও হাই কোর্টের এই রায়কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।
Somraj Bandopadhyay