প্রসঙ্গত, বিজেপির মন্ত্রী থাকাকালীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে এসেছিলেন রাজ্যপাল। এবার তৃণমূলের জয়ী বিধায়ক হিসেবে বাবুল সুপ্রিয়র শপথে তিনিই কার্যত 'বাধা' হয়ে দাঁড়ালেন। বাবুলের শপথ গ্রহণ ঘিরে শুরু হয়েছে নজিরবিহীন জটিলতা। তৃণমূলের অভিযোগ, এর মূলে রয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। বর্তমান রাজ্যপালের আমলে যে কোনও শপথগ্রহণ ঘিরেই বিতর্ক যেন সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
advertisement
আরও পড়ুন: মাছ বা কোনও জন্তু নয়, অজয়ে জেলেদের জালে উঠল বাইক! রহস্য লুকিয়ে মাস কয়েক আগে?
সদ্যসমাপ্ত বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের পর জয়ী তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র শপথের জন্য ফাইল তৈরি করে রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। বিধানসভা থেকে রাজ্যপালের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়, যাতে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বিধানসভা থেকেই করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে অধ্যক্ষ যাতে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করতে পারেন। কিন্তু এই চিঠি হাতে পাওয়া মাত্রই বেঁকে বসেন রাজ্যপাল। বিধানসভাকে বেশ কিছু 'শর্ত' চাপিয়ে শপথগ্রহণ সংক্রান্ত ফাইলটি বিধানসভায় ফেরত পাঠিয়ে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'কথা বলার একটা সীমা থাকা উচিত', রুদ্রমূর্তি দিলীপ ঘোষ! নিশানা করলেন কাকে?
কিন্তু কী সেই শর্ত? রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানিয়েছেন, এতদিন তিনি বিধানসভা সংক্রান্ত যা যা প্রশ্ন তুলেছেন, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেলে তবেই তিনি ফাইলে সই করবেন। এর জন্য ব্যাখ্যা দিতে বিধানসভার সচিবকে রাজভবনে ডেকেও পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। যদিও রাজ্য বিধানসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যপালের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। কোনও প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বাকি নেই। ফলে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হলেও, বিধানসভায় কবে বাবুল সুপ্রিয় শপথ নিতে পারবেন, তা ঘিরে এখন জটিলতা তৈরি হয়েছে।