সোমবার সকাল দশ'টা নাগাদ বোর্ডের দফতরের সামনে হাজির হন কয়েকশো নার্সিং স্টাফ। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। করোনা আবহে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা কাজ করেছেন। সরকারি হাসপাতালেও চুক্তি ভিত্তিতে কাজ করেছেন। তাঁদের সরকারি হাসপাতালে নিয়োগের কথাও ছিল। আসন খালি থাকায় তাঁরা আবেদন করেছিলেন। সেই প্রক্রিয়ায় তাঁরা যোগ্য হিসেবে উত্তীর্ন হলেও নিয়োগের সময় তার কোনও প্রতিফলন হচ্ছে না। এরই প্রতিবাদে ও তাঁদের নিয়োগের দাবিতে বোর্ডের দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে আসেন তাঁরা। দফতরের ভিতরে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাঁধা দেয়। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি৷ বোর্ডের দফতরের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। পরে দফতরের মূল ফটকের ভিতরে অবস্থান শুরু হয়।কর্মীদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। অন্য গেট দিয়ে প্রথমে কর্মীরা যাতায়াত করতে পারলেও পরে সেটাও বন্ধ করে দেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে সেখান থেকে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। একই সময়ে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তাতেও সমাধান সূত্র অধরা থেকে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ১২ দিন নিখোঁজ ছিলেন! ব্রিজের তলা থেকে উদ্ধার জনপ্রিয় গায়িকার অর্ধনগ্ন পচাগলা দেহ
আন্দোলনকারীদের দাবি, কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছে আবেদন করতে হবে স্বাস্থ্য ভবনে। ফের পুলিশের সাধে বচসা ও হাতাহাতি শুরু হয়। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে যায়। একদিকে দাবি আদায়ের জন্য অনড় বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন চলছে। অন্যদিকে পুলিশের তরফ থেকেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আংশিক সফল হয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের একাংশ আপাতত অবরোধ তুলে নেওয়ার পক্ষে সায় দিয়ে বোর্ডের দফতরের সামনে থেকে বেড়িয়ে আসে। কিন্তু অন্যপক্ষ রাস্তায় অবরোধ শুরু করে। এরই মাঝে পুলিশের সঙ্গে আরেকপ্রস্ত ধস্তাধস্তি হয়ে যায় বিক্ষোভকারীদের সাথে। বেশ কিছুক্ষণ এ ভাবে চলার পর কড়া অবস্থান নেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের বলে দেওয়া হয় রাতে কিছুতেই বিক্ষোভ করা যাবে না। অন্যথায় গ্রেফতার করা হবে। বরং বাড়ি যেতে চাইলে পুলিশের তরফে বাস ঠিক করা হবে। পুলিশের এই প্রস্তাবে বরফ গলে। রাজি হয়ে যায় বিক্ষোভকারীরা। শেষে পুলিশের ঠিক করে দেওয়া দুটি বাসে করেই হাওড়া ও শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন বিক্ষোভকারীরা। স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়ে পুলিশ।
UJJAL ROY