গত ৬ অক্টোবর হড়পা বানের ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ডুয়ার্সের নাগরাকাটা এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপি বিধায়ক খগেন মুর্মু, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ-সহ বিজেপির এক প্রতিনিধিদল। সেখানে হামলার মুখে পড়েন তাঁরা। জনপ্রতিনিধিদের লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি।
advertisement
ইটের আঘাতে আহত হন খগেন মুর্মু, শংকর ঘোষও। ইটের আঘাতে সাংসদের চোখের নীচের হাড় ভেঙেছে বলে জানা যায়। হাসপাতালে বেশ কয়েকদিন ভর্তি ছিলেন তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমসেও তাঁকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা চলে। সৌজন্য মেনে উত্তরবঙ্গ সফরের সময় হাসপাতালে গিয়ে বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দেখা করে দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই হামলার ঘটনার পরপরই বিজেপি সাংসদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি উঠেছিল দলের অন্দরে। কেন্দ্রের কাছেও আবেদন জানানো হয়। পরিস্থিতি বুঝেশুনে সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
জানানো হয়েছে, এবার থেকে ওয়াই প্লাস ক্যাটাগরির সুরক্ষা পাবেন খগেন মুর্মু। এর আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও একই কারণে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।
তার উপর সামনে বিধানসভা ভোট। প্রচারে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন দলের সাংসদ, বিধায়করা। সেসব কথা মাথায় রেখেও দলের নেতাদের সুরক্ষা বাড়ানোর পথে হেঁটেছে বিজেপি।
নাগরাকাটায় হামলার জের, নিরাপত্তা বাড়ল বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর । খগেন মুর্মুর উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বঙ্গ বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব শুভেন্দু অধিকারী সুকান্ত মজুমদাররা কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিল সংঘটিত করেছিলেন।
আদিবাসী বিজেপি সংসদের উপর আক্রমণের তীব্র ধিক্কার জানান তাঁরা। যদিও বিজেপির প্রতিবাদে কটাক্ষ সরাসরি ছিল তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে। বঙ্গ বিজেপি সেকশন নেতৃত্ব উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংসদ এবং বিধায়কের উপর হামলার জন্য দায়ী করেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের।
