কেন্দ্রের তরফে জারি করা নয়া শিক্ষানীতি নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার। তিনি বলেন " রাজ্য যে সুপারিশগুলি দিয়েছিল দেখা যাচ্ছে সেগুলি কেন্দ্রের তরফে জারি করা নয়া শিক্ষানীতিতে শোনাই হয়নি। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ একসঙ্গে করে দেওয়াতে পরিকাঠামো দিক থেকে কিভাবে তা সম্ভব তা এখনও স্পষ্ট নয়। আমাদের রাজ্যে অনেক স্কুলে মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা নীতির ক্ষেত্রে তাহলে সেই স্কুলগুলিতে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করতে হবে। তার জন্য দরকার বিপুল পরিমাণ পরিকাঠামো ও টাকা। রাজ্যের যেখানে এখন এত বিপুল পরিমাণ দেনা রয়েছে সেখানে এত টাকা জোগাড় করা কিভাবে সম্ভব।নয়া শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা গুরুত্বহীন করে দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর জন্য বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাবগুলো শোনা হল না।"
advertisement
কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির স্কুল স্তরের বদল নিয়ে সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভিক মজুমদারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির উচ্চশিক্ষা সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে সরব হলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি বলেন, " উচ্চ শিক্ষা সম্পর্কে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতিতে যা বলা হয়েছে তাতে অনেক এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশা রয়েছে। কবে থেকে এই শিক্ষানীতি চালু হবে কবে তা আইন হিসেবে কার্যকর করা হবে তা জানানো হয়নি। নয়া শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে তিন বছরেও অনার্স কোর্স শেষ করা সম্ভব, আবার চার বছরেও অনার্স কোর্স শেষ করা সম্ভব। ফলত এক একটি বিশ্ববিদ্যালয় যদি এক ধরনের নিয়ম চালু করে তাহলে তা ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে এই সমস্যার জায়গা তৈরি করবে। নয়া শিক্ষানীতি পড়ে যেটা বুঝলাম এরাজ্যে তরফে যে যে আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি নিয়ে তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।"
কিন্তু তরফ এ জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া নিয়ে যখন এ রাজ্যের তরফে মতামত চাওয়া হয়েছিল তখন রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন শিক্ষাবিদদের পাশাপাশি অধ্যাপক সংগঠন এবং স্কুল স্তরে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনের মতো নিয়েছিল। মতামত নেওয়ার পর রাজ্যের তরফে বেশ কিছু সুপারিশ বা প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কার্যত বুধবার কেন্দ্রের তরফে যে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি জারি করা হল তা নিয়ে অবশ্য রাজ্যের কোন প্রস্তাবকেই গুরুত্ব দেওয়া হল না। যা নিয়ে কার্যত সরব রাজ্যের শিক্ষাবিদরা।
Somraj Bandopadhyay