কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘‘বাংলায় এসে এটা জানাতে আমার ভাল লাগছে যে, ২২ সেপ্টেম্বর তারিখকে স্থির করার উপরে সবচেয়ে বড় প্রভাব ফেলেছে বাংলার পুজো৷’’ দুধ, পনির, দইয়ের জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্যে আনা হয়েছে। ‘‘পুজোয় যত খুশি রসগোল্লা খান, বিক্রি করুন’’, বাঙালিকে মজা করে বলেন কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এদিন পনির শব্দটি বলে একগাল হাসলেন নির্মলা। বললেন, ‘‘পনির। বেঙ্গল, পনির থেকে সমস্ত কর তুলে নেওয়া হয়েছে। পুজো শুরু করুন আনন্দে, হাসিমুখে। যত খুশি রসমালাই আর রসগোল্লা খান।’’
advertisement
পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ছৌ মুখোশ, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডীর ক্ষুদ্রশিল্প, বর্ধমানের হস্তকলাশিল্প অর্থাৎ শোলার কারিগরদের সামগ্রী ৫ শতাংশ, নকশিকাঁথার শিল্পীরা, মালদহের আম, দার্জিলিংয়ের চা শিল্প, চটের ব্যাগ, হোসিয়ারি ও রেডিমেড পোশাক শিল্পও এই জিএসটি হবে। বাংলার শান্তিনিকেতনের চর্মশিল্প ও বাঁকুড়ার টেরাকোটা ও মৃৎশিল্প সামগ্রীর দাম ৫ শতাংশ স্তরে নামিয়ে আনা হয়েছে।
নির্মলা সীতারমণের এই বক্তব্যকে কার্যত কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর চাপে কেন্দ্র কার্যত বাধ্য হয়েছেন কুফলকে সুফলে পরিণত করতে। জাতীয় গ্রন্থাগারের শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভাষা ভবনে শিল্প ও বণিক মহলের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জিএসটির পরিবর্তন আলোচনা করেন এদিন। এর পরেই এই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এই যে আজ সুফল বোঝাচ্ছেন এটা তো আসলে ছিল কুফল। সুফলটা তো এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি যে জিএসটির কাঠামো করেছিলেন সেটা পুরোটাই ছিল কুফল। একদম ধনীতম ব্যক্তিরা যে জিনিস ব্যবহার করে তার ওপর জিএসটি এই বা কম আর সাধারণ মানুষ, গরিব, মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত মানুষ যা ব্যবহার করে তার জিএসটি বেশি। স্বাস্থ্যবিমা বা জীবনবিমা যেগুলো মানুষের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তার ওপর ১৮ পার্সেন্ট জিএসটি। এই বিষয়টি প্রথম তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের ও তৃণমূল কংগ্রেসের কথায় এখন দেশবাসী সচেতন হয়েছেন। উনি সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছেন। সুতরাং উনি দিয়েছিলেন কুফল কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটা সুফলে পরিণত করতে বাধ্য করেছেন কেন্দ্রকে।”