ঘটনার পর যেমন ওই আবাসনের নিরাপত্তা, ভাড়াটে মালিক সম্পর্ক নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, তেমনই অন্য আবাসনের চিত্রও প্রায় এক। এই উপনগরীর বিভিন্ন আবাসনের বাসিন্দা রয়েছেন আতঙ্কেই। নিউ টাউনের পুরনো আবাসন বলাকা। এই আবাসনে মোট ৯২৮টি ফ্ল্যাট রয়েছে। আবাসনের তিনটি গেটে রয়েছে নিরাপত্তা কর্মী। রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও। কিন্তু সাপুরজির ঘটনায় বেশ ভাল প্রভাব পড়েছে এই আবাসনের বাসিন্দাদের মধ্যে। দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন রাকেশ গুপ্তা। তিনি অভিযোগ করছেন, সোসাইটি থাকলেও ভাড়াটে নিয়ে অন্ধকারে থাকতে হয়। কারণ এখানে প্রায় তিনশো ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতার মাধ্যমে ভাড়া দেওয়া হয়। নিয়ম থাকলেও মানা হয় না। পুলিশ ভেরিফিকেশন হয় না অধিকাংশ ক্ষেত্রে। তাঁর দাবি, সোসাইটির উচিত মাঝে মাঝে এই ভাড়াটে সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া। একইসঙ্গে পুলিশের তরফে যাতে খোঁজ নেওয়া হয় তারও দাবি জানাচ্ছেন অনেকে। আ
advertisement
রও এক বাসিন্দা উত্তম হুই দাবি করছেন, নিরাপত্তার দিকে পুলিশ প্রশাসন আরও বেশি নজর দিক। প্রয়োজনে আবাসনগুলির প্রবেশের মুখে থানা সিসিটিভি বসিয়ে নজরদারি করুক। কারণ অনেক সময় ফ্ল্যাটের মালিকও জানতে পারেন না ভাড়াটে ওই ফ্ল্যাটে কী করছেন! আরও এক অভিজাত আবাসন সানরাইজ পয়েন্ট। এখানে ৪৮০টি ফ্ল্যাট রয়েছে। আবাসন চত্বর সিসিটিভিতে মোড়া। গেটে মোতায়েন নিরাপত্তাকর্মী। তা সত্ত্বেও আতঙ্ক রয়েছে আবাসিকদের মনে। বাসিন্দা সুব্রত দাশগুপ্তর অভিযোগ, রাত বিরেতে কখনও কেউ এলে গেটে প্রশ্ন করা হলে নিরাপত্তারক্ষীকে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি আবাসনের সোসাইটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। সাপুরজির ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তার দিকটিতে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাসিন্দাদের আরও সজাগ হতে হবে বলেই মনে করছেন সুব্রতবাবু। আতঙ্ক থাকলেও আরএক আবাসন মুনবিমের বাসিন্দা স্বাধীন কুমার সাহা জানিয়েছেন, তাঁদের আবাসন নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। এখানে যে সোসাইটি আছে, তারা সমস্ত কিছুর খোঁজ রাখে। নিরাপত্তা নিয়েও যথেষ্ট সতর্ক তাঁরা। ভাড়াটে প্রসঙ্গে আবাসনের ম্যানেজার জানিয়েছেন, সমস্ত ভাড়াটে সম্পর্কে সোসাইটির কাছে তথ্য আছে। নথি পুলিশ ভেরিফিকেশন যেমন হয়, তেমন ভাড়াটে আসার পর সোসাইটির তরফে খোঁজ নেওয়া হয়। তবে সাপুরজির ঘটনার পর এটা স্পষ্ট অধিকাংশ আবাসনেই ভাড়া দেওয়া নিয়ে বেনিয়ম রয়েছে।