রবিবার নিউটাউনের ডিসি মানব সিংলা জানান, ”প্রথমে নির্যাতিতার পরিবার মিসিং কমপ্লেইন করে থানায়। আমরা তদন্ত চালাই। তদন্তে নেমে আমরা তথ্য প্রমাণ জোগাড় করি। সিসিটিভি ফুটেজ, শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
advertisement
ওই পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় মেয়েটি হেঁটে যাচ্ছে, তারপর সেটা ট্র্যাক করে দেখা যায় টোটো ড্রাইভার নিয়ে যাচ্ছে তাঁকে। টোটোতে আরও প্যাসেঞ্জার ছিল তখন। রাত দুটো থেকে আড়াইটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে বলে দেখা যায়। টোটো চালক স্বীকার করেছে তার দোষ। আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বাকিটা। টোটো চালক জানিয়েছে, নাবালিকা বাড়ি ফিরতে চেয়েছিল।
শুক্রবার নিউটাউনের লোহা ব্রিজের কাছে ১৪ বছরের ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ জগৎপুরে দেখা গেছিল ওই নাবালিকাকে। লোহা ব্রিজ থেকে জগৎপুরের দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার। ওই পথে ঠিক কী ঘটেছিল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে টোটো-তে ওই নাবালিকাকে তোলা হয়েছিল, সেই টোটো-টিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির আসল বাড়ি নদিয়ায়। তবে, সে নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগরে ভাড়া থাকে। এই ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই ব্রেক থ্রু করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই নাবালিকা ওই টোটোতে উঠছে। এরপর নাবালিকাকে নিয়ে আসা হয় নিউটাউনের সোনাঝুরি হাটের কাছে। তারপর নির্জন একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর মুখ চেপে ধরা হয়। এরপর পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত জানিয়েছে, নাবালিকাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে টোটো-তে তোলে সে। এরপরই ঘটায় সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা।