একুশের নির্বাচনে বড় জয়ের পর অবশেষে পরিকল্পনা নেওয়া হয় ঢেলে সাজানো হবে তৃণমূল ভবন। গত বছরের ৫ জুন তৃণমূল ভবন সম্প্রসারণের ইঙ্গিত মিলেছিল দলীয় বৈঠকে। ২০০২ সালের ২০মে বাইপাসের পাশে তৃণমূল ভবন তৈরি হয়। দল তখন ছোট ছিল, ক্ষমতাও ছিল অতি সীমিত। এখন কলেবরে দল অনেক বড় হয়েছে। টানা তিনবার জয় প্রমাণ করে দিয়েছে দলের নীচুতলা কত শক্ত। তার উপর আবার দল চাইছে জাতীয় প্রেক্ষাপটে সম্প্রসারণ। কাজেই আর পাঁচটা জাতীয় দলের মতোই চাই ঝাঁ চকচকে হেডকোয়ার্টার।
advertisement
আরও পড়ুন: 'স্বামী' সৌমিত্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সুজাতার! ডিভোর্স নিয়ে কড়া নির্দেশ কোর্টের
সূত্রের খবর, এই দিক গুলি মাথায় রেখেই পুরনো ভবন সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। অস্থায়ী নয়া ভবনের স্থান সঙ্কুলানের জন্যে নেওয়া হয়েছে ৪ তলা। থাকছে প্রতিটি শাখার জন্যে আলাদা ঘর। থাকছে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের জন্য ঘর। জেলা থেকে আসা কর্মীদের জন্যে বসার ব্যবস্থা। থাকছে প্রেস কনফারেন্স রুম। ভার্চুয়াল বৈঠকের ব্যবস্থা। এ ছাড়া দলীয় বৈঠকের জন্যে রয়েছে হল ঘর ও কনফারেন্স রুম। বানানো হবে ক্যান্টিন, যেখানে দলের কর্মীরা সুলভে খাবার পাবেন।
আরও পড়ুন: 'দেশের কর্তাদের আস্ফালনের বিরুদ্ধে...' সরকারের বর্ষপূর্তিতে প্রত্যয়ী মমতার হুঁশিয়ারি!
রাজনৈতিক মহলের মত, তৃণমূল ভবনের এই সম্প্রসারণের পিছনে আসলে একটি কৌশলী রাজনৈতিক বার্তাও ছিল। তৃণমূল খাতায় কলমে বুঝিয়ে দিতে চাইছে দল বাড়ছে। বাড়ছে সংগঠন। জেলার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ বাড়ানো হচ্ছে জেলার কর্মীরা এসে যাতে রাতে তৃণমূল ভবনেই থাকতে পারেন সেই জন্য ওই ব্যবস্থা। তা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে সরকারের পাশাপাশি দলে মন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সেই ২০১৯-এই। তারপর থেকেই সংগঠন নিয়ে গভীর ভাবে ভাবা হচ্ছে।
বাইপাসের ধারে পুরনো ভবন ভাঙা হলেও, সে অর্থে কাজ এগোয়নি বলছে একাংশ। বাইপাসের ধারে একটা অস্থায়ী অফিস তৈরি হলেও তা ঠিক পার্টি অফিসের কাজ চালানোর মত নয়। তাই যতদিন না নয়া ভবন তৈরি হচ্ছে ততদিন কাজ চালানোর জন্য অস্থায়ী বাড়ি থেকেই কাজ চালাবে তৃণমূল। সূত্রের খবর, দলনেত্রী শীঘ্রই এই অস্থায়ী অফিসে মিটিং করবেন।