অভিযোগ, ব্যবসায়ীকে পিটিে খুন করার পরে বিডিও-র গাড়িতেই তাঁর দেহ লোপাট করা হয়৷ শুধু তাই নয়, দেহ লোপাটের সময়ে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন নিজে গাড়িতে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷ পুলিশ সূত্রের খবর, বিডিও-র গাড়ির চালক রাজু ঢালি ও বিডিও-র ঠিকাদার-বন্ধু তুফান থাপা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে এ কথা জানিয়েছেন তদন্তকারীদের কাছে।
advertisement
জানা গিয়েছে, ধৃত তৃণমূল ব্লক সভাপতি সজল সরকার বিডিও প্রশান্ত বর্মনের ঘনিষ্ট হিসাবে পরিচিত৷ স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় কোচবিহার জেলার তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট সজল সরকারকে দুর্নীতি সহ একাধিক কারণে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ প্রশান্ত বর্মন প্রভাব খাটিয়ে আবার তাঁকে পদে বসিয়েছিল বলে খবর।
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সোনা পাচার সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে৷ সেই সমস্ত কারণেই তখন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সেই সজল সরকারকে বিধাননগর আদালতে আনা হয়। সজলের আইনজীবী দাবি করেন, সজলকে নিয়ম মেনে গ্রেফতার করা হয়নি শিলিগুড়ি থেকে। যদিও সরকারি আইনজীবী জানান, গ্রেফতারির বিষয়ে লোকাল থানাকে জানানো ছিল।
এদিন সরকারি আইনজীবী আদালতে জানান, ‘‘দু’জন হেফাজতে আছে। রাজু ঢালির (প্রশান্ত বর্মনের গাড়ির চালক, ধৃত) মোবাইলে ভিডিও করেছিল৷ মারধরের সময় সেখানে সজল ছিল। টাওয়ার লোকেশনও পাওয়া গেছে। পুনর্নির্মাণের বিষয় আছে ১৪ দিনের রিমান্ড চাইছি। গাড়িটারও খোঁজ করতে হবে।’’ বিচারক সব শুনে ১০ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
এর আগে পুলিশ প্রশান্ত বর্মনের বিডিও’র গাড়ির চালক রাজু ঢালি এবং ঠিকাদার বন্ধু তুফান থাপাকে গ্রেফতার করে। তাদের ১২ দিনের পুলিশি রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জেরা করেই পুলিশ সজল সরকারের যোগ পায়। জানা গিয়েছে, সজলের বাড়ি কোচবিহারে। তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার -২ ব্লকের সভাপতির পদেও আছেন! সজলবাবু বিডিও প্রশান্ত বর্মনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। পুলিশ জানিয়েছে, এই কাণ্ডে তার যোগ মিলেছে। ধৃতকে রিমান্ডে নিয়ে জেরা করে বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে।
