তাদেরকে পুরনো পোস্টিংয়ে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ যারা কলকাতা পুলিশ থেকে এসেছিলেন তাদের কলকাতা পুলিশের পুরনো পোস্টিংয়ে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। যারা রাজ্য পুলিশ থেকে এসেছিলেন, তাদের রাজ্য পুলিশের পুরনো পোস্টিংয়ে পাঠানো হল। নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর মিলেছে।
যদিও ধৃত যুবকের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি নয়, কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার ভেবেই নাকি পাঁচিল টপকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল অভিযুক্ত হাফিজুল মোল্লা৷ পুলিশি জেরায় এমনই দাবি করেছে সে। গত শনিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ে হাফিজুল। রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ভিতরে তার উপস্থিতি টের পান নিরাপত্তারক্ষীরা৷ তার পরেই গ্রেফতার করা হয় তাকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ করেই প্রবলভাবে করোনার থাবা, উত্তরের এই জেলা এখন আতঙ্কে কাঁপছে
আগামী ১১ জুলাই পর্যন্ত তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর দাবি অনুযায়ী, প্রাথমিক জেরায় হাফিজুল পুলিশের কাছে জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িকে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর বলে ভেবেছিল সে৷ তাই সেখানে ঢোকার চেষ্টা করে ৩০ বছর বয়সি ওই যুবক৷ কিন্তু গভীর রাতে ঠিক কোন প্রয়োজনে তার লালবাজারে ঢোকার প্রয়োজন হল, তার যথাযথ ব্যাখ্যা হাফিজুল দিতে পারেনি বলেই সংবাদসংস্থা সূত্রে দাবি। কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করেই এই দাবি করেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই৷
আরও পড়ুন: নিজের পেটে ভাঙা কাঁচের বোতল ঢোকালেন বিজেপি কর্মী! শ্বশুরবাড়িতেই সব শেষ, ঘনাচ্ছে রহস্য
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, হাফিজুল মোল্লা নামে ওই যুবক প্রথমে দাবি করে, সে ফল বিক্রি করে৷ আবার পরে সে নিজেকে পণ্যবাহী গাড়ির চালক বলে দাবি করে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবক মানসিক ভাবে স্থিতিশীল নয়৷ শনিবার রাতে কালীঘাটে পৌঁছনোর আগে সে কোথায় কোথায় গিয়েছিল, সেই সমস্ত তথ্যও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷