নারদ ডট কমের প্রকাশিত ৫৭ ঘণ্টার ফুটেজে বিভিন্ন নেতা ও মন্ত্রীদের যে টাকা আদানপ্রদানের ফুটেজ দেখা যায়, তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিশীতা মাত্রে ৷ তাঁর প্রশ্ন ছিল, ‘তিন ভিডিওয় যে টাকার লেনদেনের স্পষ্ট ছবি ধরা পড়েছে, এটা কী কোনও অপরাধ নয়?’
বিচারপতির প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র পাল্টা প্রশ্ন তোলে, ভিডিও টাকা আদানপ্রদানের যে ফুটেজ দেখানো হয়েছে তা অপরাধ কিনা সেটা আগে প্রমাণ হওয়া দরকার ৷ অ্যাডভোকেট জেনারেলের মন্তব্য,‘স্টিংয়ে দেখানো লেনদেন অসম্পূর্ণ ৷ স্টিংয়ে দেখানো লেনদেন গ্রেফতারযোগ্য অপরাধ কিনা ৷ সেই বিচার আগে করুক আদালত ৷ নারদকাণ্ডে গ্রেফতারযোগ্য অপরাধ হলে, আদালত যেকোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে ৷’ এই শুনানি পর্বের পর আরও একবার ঘুরপথে নারদ স্টিং ফুটেজের সত্যতা নিয়ে উঠল প্রশ্ন ৷
advertisement
দক্ষিণের সংবাদ সংস্থা নারদ ডট কম দাবি করেন, এই ভিডিও একদম খাঁটি ৷ ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই স্টিং অপারেশনটি তারা করেছিলেন বলে দাবি করেন সংস্থার কর্ণধার ম্যাথু স্যামুয়েল ৷
প্রথম থেকেই এই স্টিংকাণ্ডকে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করে আসছে শাসক দল ৷ গত মার্চ ১৪, নির্বাচনের প্রথম দফার বিজ্ঞপ্তি জারির দিন বিজেপি পার্টি অফিসে শাসক দল তৃণমূলের ১১ জন শীর্ষ নেতা- নেত্রীদের ঘুষ নেওয়ার বিস্ফোরক ক্লিপটি দেখানোর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক মহল ৷ এই ক্লিপ নিয়েই ভোটের আগে তৈরি হয় প্রবল বিতর্ক ৷ শাসক দলের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ শানান বিরোধীরা ৷