বাইপাসের দুই প্রান্ত জুড়ে তিন, তিন করে ছয় লেনের এই ফ্লাইওভার হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা RITES ইতিমধ্যেই এই উড়ালপুলের বিষয়ে ড্রাফট পরীক্ষা করে পাঠিয়ে দিয়েছে কেএমডিএ-র কাছে। শহরের গতি বাড়াতে একাধিক উড়ালপুলের (Flyover) প্রস্তাব করেছে রাজ্য নগরায়ন দফতর। তার মধ্যে অন্যতম হল বাইপাসের (Bypass) উপর এই নয়া উড়ালপুল। নিত্যদিন ভিআইপি বাজার থেকে অভিষিক্তা মোড় পর্যন্ত অফিস টাইমে ব্যাপক যানজট হয়। সেই যানজট (Transport) মেটাতে প্রয়োজন ছিল একটি উড়ালপুলের (Bypass) । যেহেতু বাইপাসের মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো রেলের নির্মাণ রয়েছে তাই এখানে নয়া কাঠামো নির্মাণে অসুবিধা রয়েছে। তাই বাইপাসের (Bypass) দু'প্রান্ত ধরে বানানো হবে এই উড়ালপুল। দুটি প্রান্তই হতে চলেছে ৩ লেন করে। ফলে যে সংখ্যক গাড়ি চলাচল করে, বাইপাস ধরে, তা যাতায়াতে কোনও অসুবিধা হবে না বলেই জানাচ্ছে কেএমডিএ। ভিআইপি বাজার থেকে ওঠা ফ্লাইওভার নামবে মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারিতে।
advertisement
আরও পড়ুন - Earn Money: ৬ টাকার শেয়ার হল ১৮৮ টাকা, এক বছরে ৩০০০% রিটার্ন এই মাল্টিব্যাগার স্টকের
আরও পড়ুন - Earn Money: Brinjal-র কামাল জানেন, স্বল্প বিনিয়োগেই হবে কামাল, বাড়িতে বসেই Lakh-Lakh আয়
এই অংশ থেকে একটি প্রান্ত নামবে অভিষিক্তা মোড়ে। RITES সূত্রে খবর, এই অংশ মেট্রো লাইনের অনেকটা ওপর দিয়েই নামবে। যা যুক্ত করবে আনোয়ার শাহ রোডকে।এই অংশের সর্বাধিক উচ্চতা হবে প্রায় ২০ মিটারের কাছাকাছি। গোটা উড়ালপুল (Flyover) হবে মেট্রোর পিলারের চেয়ে উঁচু। সাধারণত মেট্রোর পিলারের উচ্চতার ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে এটিকে। সেভাবেই নকশা করেছে RITES। এই উড়ালপুল হতে চলেছে প্রায় ৩ কিলোমিটার লম্বা। এই উড়ালপুলের একটি প্রান্ত নামবে অভিষিক্তা মুখী অংশে রুবি মোড়ের কাছে। ফলে যে সব গাড়ি বিমানবন্দর থেকে এসে গড়িয়াহাটের দিকে যেতে চান তারা এটা ব্যবহার করবেন। দক্ষিণমুখী একটি প্রান্ত নামবে অভিষিক্তার কাছে সেখান দিয়ে যে সব গাড়ি যাদবপুর যেতে চায় তারা যাবে। আবার অভিষিক্তা থেকে উত্তরমুখী একটা র্যাম্প বানানো হবে। ফলে যে সব গাড়ি যাদবপুর থেকে সায়েন্স সিটি আসবে তারা এই র্যাম্প ধরতে পারবে।
অন্যদিকে, এই সেতুর নীচে রুবি মোড়ে বানানো হচ্ছে একটি স্কাই ওয়াক। পথচারীদের জন্যে এটি বানানো হবে। উড়ালপুল তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। তিন বছরের মধ্যেই এই কাজ শেষ হবে।তবে কাজ কবে থেকে শুরু হবে তা এখনও নিশ্চিত করেনি রাজ্য।
ABIR GHOSHAL