#কলকাতা: চাকরি নিয়ে এখন সর্বত্র মারামারি৷ অন্যদিকে সেই ঝক্কিতে না গিয়ে আপনি যদি নিজের ব্যবসা শুরু করেন তাহলে মোটা টাকা (Earn money) রোজগার সহজেই হতে পারে৷ তবে একটা প্রথম বিষয়ে ব্যবসা ধৈর্য্য ধরতেই হয়৷ কিন্তু যদি টাকা রোজগারের হিসেবে দেখেন তাহলে চাকরির চেয়ে অনেক বেশি রোজগার করা যায়৷ এখন শিক্ষিত যুবকরা চাষবাস (Business idea) করছে, আর লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছে৷ আজ আপনাদের আমরা বেগুন (brinjal) চাষ (farming) করে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগারের বিষয়ে জানাব৷ Photo- Representative
বিভিন্ন প্রজাতির বেগুন (Brinjal) হয়৷ তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করার আলাদা আলাদা ধরণ হয়৷ এই চাষ ৮ থেকে ১২ মাসের মধ্যে হয়৷ বেগুন চাষে মোটা মুনাফা হওয়া সম্ভব৷ তার আগে আপনাকে দেখতে হবে আপনার এলাকায় কোন বেগুন বিক্রি হয়৷ তাই বেগুন চাষের আগে একটু রিসার্চ করে দেখে নিতে হবে৷ তারপর স্থির করতে হবে সেই প্রজাতির বেগুনই আপনি চাষ করবেন৷ Photo- Representative
বেগুন খারিফ ও রবি শস্যের মতো ছাড়াও সারা বছরও উৎপাদন করা সম্ভব৷ বেশি করে বেগুন (Brinjal) উৎপাদনের জন্য বীজ সঠিকভাবে বপণ করতে হবে৷ দুটি বেগুন গাছের মধ্যে সঠিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে৷ দুটি গাছের মধ্যে ৬০ সেন্টিমিটার হতে হবে৷ মাঠে বীজ পোঁতার আগে চার -পাঁচবার সেটাকে খোঁড়াখুঁড়ি করে নিতে হবে৷ তারপর খেত অনুযায়ি বেড বানিয়ে নিতে হবে৷ প্রতি একর জমিতে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রাম বীজ দিতে হয়৷ এক সেমি নীচে বীজ দিয়ে তারপর মাটি দিয়ে দিতে হবে৷ বেগুন ২ মাসের মধ্যে উৎপাদিত হয়৷ Photo- Representative
বেগুন চাষের জন্য প্রথমে হার্ভেস্টিংয়ের সময় মোটামুটি ২ লক্ষ টাকা অবধি খরচ হয়৷ অন্যদিকে সারা বছর দেখভালের জন্যেও মোটামুটি ২ লক্ষ টাকা আরও খরচ হবে৷ অর্থাৎ পুরো এক বছরের বেগুন চাষের জন্য বিনিয়োগ মাত্র ৪ লক্ষ টাকা৷ আর তাতে এক হেক্টর জমিতে ১০০ টন অবধি বেগুন উৎপাদিত হতে পারে৷ Photo- Representative