বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করা হয়েছে দ্রৌপদী মুর্মুকে। অন্যদিকে বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী যশবন্ত সিনহা। এই দু' জনের কাউকেই ভোট দেবেন না নওশাদ সিদ্দিকি।
আরও পড়ুন: ১২৯৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে! 'বাংলার মেধার' গর্বে উচ্ছ্বসিত মমতা!
বিরোধীদের জোটে সিপিএম তথা বামেরাও রয়েছে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের চেয়ারম্যান ভাঙরের বিধায়ক সেই জোটের সমর্থনেই এ রাজ্য থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন। অথচ বাম জোটে থেকেও বামেদের সমর্থন প্রাপ্ত যশবন্ত সিনহাকে সমর্থন জানানোর কোনও প্রশ্নই নেই বলে সাফ জানিয়ে দিলেন নওসাদ। তবে কি এনডিএ পদপ্রার্থীকে সমর্থন? সেই সম্ভাবনাও খারিজ করেছেন ভাঙড়ের বিধায়ক।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইতে হবে দিলীপ ঘোষকে, রাজ্যপালের কাছে তৃণমূল! পাল্টা উদ্বেগ জানালেন ধনখড়ও
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁর ভোটদানে বিরত থাকার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিধায়ক নওশাদ জানান,' গুজরাতের হিংসার পরেও যশবন্ত সিনহা সেই সময় নরেন্দ্র মোদির পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর বিজেপিকে রাজনৈতিক কারণেই সমর্থনের প্রশ্নই ওঠে না। পাশাপাশি আমরা মনে করি যে, শুধুমাত্র দ্রৌপদী মুর্মুই নন, বিরোধী জোটের প্রার্থী যশবন্ত সিনহাও বিজেপিরই রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। তাই কাউকেই সমর্থন নয়।'
স্বাভাবিকভাবেই নওশাদই বাংলা থেকে একমাত্র বিধায়ক যিনি ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা স্পষ্ট করে দিয়ে নিউজ এইট্টিন বাংলাকে এক সাক্ষাৎকারে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'দ্রৌপদী মুর্মু হোক অথবা যশবন্ত সিনহারা যেদিনই বিধানসভায় তাঁদের সমর্থনের আবেদন জানাতে আসুন না কেন, আমি সেদিন বিধানসভায় যাব না। এটা আমাদের দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।'
যদিও আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়কের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের বক্তব্য, 'একজন বিধায়ক ভোট দিলেন বা না দিলেন তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। আমাদের প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুর রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করবেন'। আর শাসক দল তৃণমূল বলছে, 'অন্য রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই''।