এখন প্রশ্ন কী কাজ করবে এই শ্যাফ্ট? জানা গিয়েছে, গঙ্গার তলায় ৫২০ মিটার সুড়ঙ্গ শেষে কলকাতার দিকে তৈরি হয়েছে এই শ্যাফ্ট। শ্যাফ্টের দুদিকে থাকবে দুটো দরজা। এই দরজা দিয়ে যাওয়া যাবে মেট্রো ট্যানেলে। ইমার্জেন্সিতে এই দরজা দিয়েই মেট্রো ট্যানেলে ঢোকা বেরোনো করা যাবে। দ্রুত গঙ্গার নীচে থাকা সুড়ঙ্গে চলে যাওয়া যাবে। কারণ এই শ্যাফ্ট থেকে গঙ্গা মাত্র ৬০ মিটার দূরে। ২৭৩ সিঁড়ি পেরিয়ে ট্যানেল থেকে মাটির উপরে উঠে আসা যাবে এই কুঁয়োর পাকদণ্ডী বেয়ে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা? কমিশন আসার আগেই পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে রাজীব
কুয়োর মতো দেখতে কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো এই ভেন্টিলেশন শ্যাফটের গভীরতা ৪৩.৫ মিটার। ভেতরের ব্যাস ১০.৩ মিটার। জানা গিয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এতে তৈরি সিঁড়ির মাধ্যমে সুড়ঙ্গ থেকে যাত্রীদের বের করে আনা সম্ভব হবে। তা ছাড়াও এর মূল কাজ হল, মেট্রোর সুড়ঙ্গে টাটকা বাতাস সরবরাহ করা। এই শ্যাফটের মাধ্যমে ভেতরের দূষিত বাতাস বাইরে বের হয়ে আসবে।
এই ভেন্টিলেশন শ্যাফটের একদিকে মহাকরণ মেট্রো স্টেশন অপরদিকে হুগলি নদী পেরিয়ে হাওড়া স্টেশন। ইস্ট–ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাওড়া স্টেশনের পথে যে সুড়ঙ্গ সেটি গঙ্গার জলস্তরের ৩৭ মিটার নীচে। সুড়ঙ্গের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই শ্যাফটটি এত গভীর করে তৈরি করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘ফায়ার প্রটেকশন অ্যাক্ট অনুযায়ী এই শ্যাফট বানানো হয়েছে। বিশুদ্ধ বাতাস পাঠানোর পাশাপাশি যদি দ্রুত এমারজেন্সি কারণে ট্যানেল দিয়ে বের করে নিয়ে আসতে হয় যাত্রীদের তখন এই ভেন্ট স্যাফট ব্যবহার করা হবে।’