বিজেপি-র অন্দরে অনেকেই বলছেন, এভাবে জেলার সভাপতি তথা সাংগঠনিক নেতারা নিজেদের পদ থেকে সরে যেতে শুরু করলে সংগঠন ভেঙে পড়বে। বিধানসভা ভোটের থেকে এমনিতেই জেলায় জেলায় সংগঠন এখন আগের থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একের পর এক পদত্যাগ দলকে আরও দুর্বল করে দিচ্ছে বলেই অনেকের অভিমত।
একুশের নির্বাচনে অনেক স্বপ্ন দেখেও পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। আর সেই পরাজয়ের পর থেকেই দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনেও রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। এরপরই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অশোক চক্রবর্তী। সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের কাছে 'ভিক্ষা', সুকান্ত মজুমদারের 'স্বাগত'! সব নজর দিল্লিতে
কিন্তু কেন পদত্যাগ করলেন BJP-র নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অশোক চক্রবর্তী? তাঁর নিজের কথায়, ''শান্তিপুর উপনির্বাচনে দলের ফল একেবারেই ভাল হয়নি। তাই সেই দায় মাথায় নিয়েই সরে যেতে চাইছি।'' কিন্তু বিজেপি-র অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে গোষ্ঠী কোন্দলের কথা। সূত্রের খবর, নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রবল ভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে। এ নিয়ে দলের নেতৃত্বকে জানিয়েও লাভ হয়নি। জেলা সভাপতির কথা শুনছেন না অনেকেই। তৃণমূলের সঙ্গেও অনেকের যোগাযোগ গড়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আর দলের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না পেশায় ইংরেজির মাস্টারমশাই অশোক চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: ত্রিপুরা প্রেক্ষিতে কুরুচিকর মন্তব্য, হাতে-নাতে 'ফল' পেলেন দিলীপ ঘোষ! ফুঁসছে BJP
১৯৯৫ সাল থেকে বিজেপি করছেন অশোক চক্রবর্তী। একসময় রাণাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের জেরেই জেলা সভাপতির পদ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই জগন্নাথ সরকারের সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব বেড়েছে বলে বিজেপির অন্দরের খবর। তারই রেশ পদত্যাগে পড়ল বলে অনুমান অনেকের।