তবে শুধু স্বাস্থ্যসাথীই নয়, স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি হতে চলেছে। তার আগেই রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামের বহু স্কুলে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের রিপোর্ট বলছে প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকার স্কুলে পানীয় জল না থাকা স্কুলের সংখ্যা ২৫ হাজার। এরমধ্যে জলস্বপ্ন প্রকল্পে ১১ হাজার স্কুলে নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। মুখ্যসচিব এ দিন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্কুলে এই জলের ব্যবস্থা করতে হবে। জেলাশাসকদের এ ব্যাপারে সবরকম সহায্য করার নির্দেশ দেন।
advertisement
মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলের আগেই রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী দশটি গুরুত্বপূর্ণ দফতরের চালু প্রকল্প ও সমস্যা নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে এই নির্দেশ দেন। জেলাশাসকদের এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ দিতে বলা হয়েছিল। এই দফতরগুলি হল, সেচ, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরী,তথ্য ও সংস্কৃতি, পর্যটন, ক্ষুদ্র,মাঝারি ও কুঠির শিল্প, পঞ্চায়েত, স্বাস্থ্য, ভূমি ও রাজস্ব, কৃষি, পূর্ত দফতর। পাশাপাশা ‘জল জীবন মিশন’ কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যই হল প্রতি গ্রামীণ বাড়িতে নলবাহিত বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করা। বহু ক্ষেত্রে রিপোর্টে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকায় এই প্রকল্পে রাজ্যের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই যে গ্রামগুলি সজল গ্রামে রূপান্তরিত হচ্ছে সেখানে গ্রাম সভা ডেকে তা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ওয়েবসাইটে তুলে দিন।
আরও পড়ুন- পার্থ-অর্পিতা নয়, অমিত শাহকে দুর্নীতিতে জড়িত ১০০ তৃণমূল নেতার নাম দিলেন শুভেন্দু
আরও পড়ুন- ভাইরাল মহুয়া মৈত্রর ব্যাগ! দামি ব্যাগ লোকানোর ভিডিও নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপির
মুখ্যসচিব এদিন বৈঠকে জেলাশাসক ও ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুঠির শিল্প সচিবকে পরিষ্কার জানিয়ে দেন,আগস্টেই প্রতিটি সরকারি স্কুলে অন্তত এক সেট করে ইউনিফর্ম পৌঁছে দিতে হবে। আর কোনও কথা শোনা হবে না। শিক্ষাবর্ষের সাত বছর কেটে গিয়েছে। যা কাপড় সরবরাহ করা হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে বলুন এখনই ইউনিফর্ম তৈরি করে ফেলতে। তথ্য ও সংস্কৃতি সচিব ও জেলাশাসকদের বলেন,স্বাধীনতা দিবসের আগেই জেলায় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তিগুলি সংস্কার করে ফেলুন। সময় বেশি নেই। স্বাধীনতা দিবসের দিন ফুল দিয়ে সরকার থেকে সেগুলি সাজানো হবে। এই মূহুর্তে রাজ্যে প্রায় তিন হাজার এধরনের মূর্তি রয়েছে।
তিনি জেলাশাসকদের এই বৈঠকে জমির ভূয়া দলিল ও ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। জেলাশাসকদের তিনি বলেন, ব্লক ও মহকুমাস্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে, এবার জেলা স্তরেও কমিটি গড়ুন। যাতে অভিযোগ পাওয়া মত্রই দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কেন সাধারণ মানুষ জমির দলিল সংক্রান্ত কাজে গিয়ে হয়রানের শিকার হবেন?
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়