এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে বাঁকুড়ার 'অপারেশন পুষ্টি কর্মসূচি'। গঙ্গাজলঘাঁটিতে সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পে ১ হাজার ৬২৭ জন অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুকে পুষ্টিকর খাবার, বিশুদ্ধ পানীয় জল ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে বড় অংশকেই সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এখানে এখন অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১৫-এ। কলকাতার লিভার ফাউন্ডেশন একাজে সহযোগিতা করেছে। এই প্রকল্পের প্রজেক্টের নোডাল অফিসার ছিলেন অরিত্র খান।
advertisement
আরও পড়ুন: সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে তোড়জোড়, আব্দুল লতিফ নিয়ে বড় পদক্ষেপ CBI-এর
উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা ২ নম্বর ব্লকে বেরাবেরি গ্রামের কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি ইউরোপের বাজের রফতানি করে নজির গড়েছে আরও একটি প্রকল্প। এক হাজার কৃষক পরিবার এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। এক্ষেত্রে, জেলা কৃষি বিপণন আধিকারিক সুশান্ত মণ্ডল ফার্মাস প্রডিউসার অর্গানাইজেশন গঠন করে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
আবার বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক কৌশিক সিনহার উদ্যোগে ‘আনন্দপাঠ’ সাফল্যের শিরোনামে উঠে এসেছে। জেলার পিছিয়ে পড়া এলাকায় মহামারি পরবর্তীকালে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের ভুলে যাওয়া পঠন-পাঠনের অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছে এই আনন্দপাঠ প্রকল্প।
আবার আলিপুরদুায়ারে কালচিনি ব্লকে বক্সা পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় চিকিৎসার জন্য পাল্কি অ্যাম্বুল্যান্স চালু করার প্রকল্পও স্বীকৃতি পেয়েছে। এই পরিষেবা সর্বক্ষণ চালু থাকে। বিশেষ করে ওই এলাকায় গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে এনে প্রসব করার কাজে উৎসাহিত করতেই এই বিশেষ অ্যাম্বুল্য়ান্স ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে। এর নোডাল অফিসার কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মন।
বেকারদের কর্মসংস্থানে হুগলির ‘উত্তরন’ প্রকল্প আরও সুস্থায়ী উন্নয়নের নজির গড়েছে। জেলার আরামবাগ মহকুমা শাসকের উদ্যোগে পাঁচটি কর্মশালা করে ৭২৬ জন মহকুমার বেকার ছেলেমেয়েদর কর্মসংস্থানের দিশা দেখিয়েছে। এইসব কর্মশালায় কেরিয়ার বুকলেট, অতিথি বক্তা হিসেবে বিশেষজ্ঞদের এনে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়