তাঁদের বক্তব্য, প্রথমত, এত অল্প সময়ে বাসস্ট্যান্ড সরাও বললেই সরানো যায় না। সাঁতরাগাছি বাসস্ট্যান্ডের জন্য সে ধরনের পরিকাঠামো নেই বলেই অভিযোগ তাঁদের। দ্বিতীয়ত, বাস সাঁতরাগাছি থেকে ও সাঁতরাগাছি পর্যন্ত চালাতে গেলে নতুন পারমিট ইস্যু করতে হবে। সেটা আগে করা হোক। তৃতীয়ত, জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্য বেড়ে যাওয়ার জন্যে সাঁতরাগাছি থেকে বা পর্যন্ত বাস চালিয়ে অন্য রুটের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে কেউ লাভজনক হবে না। বাবুঘাট থেকে বর্তমানে যে সমস্ত দূরপাল্লার বাস ছাড়ে তাদের যাত্রীদের পক্ষে সাঁতরাগাছি বাস ধরতে যাওয়া সম্ভব নয়। সেখান থেকে কলকাতায় আসাও সম্ভব নয়। তাই পরিবহণ দফতর স্বল্প দূরত্বের পরিবহণ রাখুক। বাস মালিক সংগঠনের দাবি, ডালহৌসিতে যেভাবে বাস রাস্তায় রাখা যেত, সময় হলে বাস চলে যেত ঠিক সেই ব্যবস্থা করা হোক।
advertisement
আরও পড়ুন- "শান্তি বিষয়ে মনোযোগ" কামনা করে নতুন পাক প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখবেন মোদি!
বাবুঘাট থেকে পাকাপাকি ভাবে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পরিবহণ দফতর৷ সোমবার কলকাতার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের সচিব বিভিন্ন বাস-মিনিবাস মালিকদের সংগঠনগুলিকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে জানিয়েছেন৷ নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১৪ দিনের মধ্যে বাবুঘাট থেকে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে সরিয়ে নিতে হবে৷ সাঁতরাগাছিতে অনেক দিন ধরেই বাস টার্মিনাস তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে৷ পরিবেশ সংক্রান্ত একাধিক মামলায় বাবুঘাট থেকে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ ময়দান, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে দূষণের জন্যও বাবুঘাটের এই বাস স্ট্যান্ডকেই দায়ী করা হয়৷ বাস স্ট্যান্ড থাকায় বাবুঘাট চত্বর নোংরাও হচ্ছে বলে দীর্ঘদিনের অভিযোগ৷
আরও পড়ুন- পাইকরে এ কী উদ্ধার হল! জোরকদমে পাড়ায় পাড়ায় তল্লাশি পুলিশের
এই মুহূর্তে বাবুঘাট থেকে মূলত দূরপাল্লার বাসগুলি ছাড়ে৷ এ ছাড়াও কলকাতার সঙ্গে শহরতলিতে যাতায়াতকারী কিছু বেসরকারি বাসও বাবুঘাট থেকে ছাড়ে৷ পরিবহণ দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৪ দিনের মধ্যে এই সব বাসকেই সাঁতরাগাছিতে সরে যেতে হবে৷ জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট, বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মতো একাধিক সংগঠনকে পরিবহণ দফতরের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে৷ অতীতেও বাস স্ট্যান্ড সরানোর তোড়জোড় হলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়ে ওঠেনি৷ পরিবহণ দফতরের এবারের নির্দেশের পর শেষ পর্যন্ত তা কার্যকর হয় কি না, সেটাই দেখার৷