নিয়মানুসারে, স্পিকারের বাঁ দিকে সেকেন্ড গ্যালারিতে বিরোধী আসনের একদম প্রথম বেঞ্চে, যেখানে আগে বসতেন আবদুল মান্নান, নেপাল মাহাতো অসিত মজুমদাররা, সেখানে বসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে ঘিরেই বসবেন বিরোধীরা। মুকুল বসবেন ইষৎ তফাতে।
শুভেন্দুদের জন্য স্থির হওয়া আসনের ঠিক বাঁ দিকের আসনে আগে বসতেন সুজন চক্রবর্তী, অশোক ভট্টাচার্য, আনিসুর রহমানরা। এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, তাতে এই আসনেই বসবেন মুকুল রায়। সম্ভবত সুজন চক্রবর্তীর আসনটিতেই তাঁকে দেখা যাবে।
advertisement
বলাই বাহুল্য, বিধানসভায় আসন নিয়ে নানা দরবার আসে, নানা জন নানা কারণ দেখিয়ে আগে থেকে আসন সংরক্ষণ করতে চান। সূত্রের খবর, মুকুল রায়ের থেকে কোনও দরবারই আসেনি। শেষ মুহূর্তে কোনও বড় বদল না হলে তাই মুকুল রায়কে এই আসনেই দেখা যেতে পারে।
উল্লেখ্য মুকুল রায়ের আগে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও ঠিক একই রকমভাবে তৃণমূল পরিচালিত কলকাতা পৌরসভার মেয়র হলেও বিধানসভা কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। বসতেন কংগ্রেসের জন্য বরাদ্দ আসনেই। বারবার তাঁকে সরানোর দাবি উঠলেও তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত ব্যবস্থা নিতে পারিনি কংগ্রেস। এদিকে মুকুল রায় কে নিয়ে বিজেপির সমস্যা একাধিক। বিধানসভায় পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির সদস্য করা হয়েছে তাঁকে। এমনকি চেয়ারম্যানও করা হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। বিজেপি মুকুলকে এই আসনে দেখতে চায় না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি তারা মুকুলের রণে ভঙ্গ দিতে পারবে, সেটাই দেখার।