প্রথমে টের না পেলেও কিছুক্ষণের মধ্য়েই পুলিশের পিছু নেওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন দু' জন। তার পরেও অবশ্য় লাভ হয়নি। জেহাদি জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃত দুই যুবকের নাম সৈয়দ আহমেদ এবং শেখ সইদ। এদের মধ্য়ে সৈয়দ আহমেদ আলিয়া বিশ্ববিদ্য়ালয়ের এম টেক-এর ছাত্র বলে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: লুকিয়ে ছিলেন গেস্ট হাউসে, বেঙ্গালুরুতে পুলিশের জালে বিমানে প্রস্রাব কাণ্ডে অভিযুক্ত
সূত্রের খবর, শুক্রবার গভীর রাতে খিদিরপুরে গোপন বৈঠক করে হাওড়ায় ফিরছিলেন দুই অভিযুক্ত। তখনই দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে তাঁদের পিছু নিয়ে এসটিএফ-এর কর্তারা। ধৃতদের নিয়েই শিবপুরে সৈয়দ আহমেদের বাড়িতে পৌঁছে যান গোয়েন্দারা। তল্লাশিতে ল্য়াপটপ, স্মার্ট ফোন সহ বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। মেলে জেহাদি যোগের প্রমাণও। এর পরেই দু' জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: মাধ্য়মিক দিতে গিয়ে ছাত্রদের বেয়াদপি বরদাস্ত নয়, স্কুলকেই শাস্তি দেবে পর্ষদ
গ্রেফতারির পর দু' জনকেই এ দিন আদালতে তোলা হয়। আদালতে সরকারি আইনজীবী চাঞ্চল্য়কর দাবি করে বলেন, দু' জনেই অস্ত্র জোগাড়ের চেষ্টায় ছিলেন। অর্থও জোগাড় করছিলেন তাঁরা।
অভিযুক্ত সৈয়দ আহমেদের আইনজীবী দাবি করেন, তিনি একটি সংস্থার হয়ে কাজ করেন। অতীতে কোনও অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার রেকর্ডও নেই তাঁর। ধৃত ছাত্রের পরিবারের সদস্য়রাও আদালত চত্বরে একই অভিযোগ করেন। যদিও সরকারি আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, ধৃতদের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীর যোগের প্রমাণ মিলেছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখা দরকার। দু' পক্ষের সওয়াল জবাব শুনে অভিযুক্ত দু' জনকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২১ ধারা সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধৃতদের লালবাজারে নিয়ে গিয়ে জেরা করবেন এসটিএফ কর্তারা। যদিও তাঁরা কোন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, সে বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য় পাওয়া যায়নি।