প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তান ২২শে এপ্রিল পহেলগাঁওতে পর্যটকদের টার্গেট করে কাশ্মীরিয়ত ও মানবতার উপর আঘাত হেনেছে। দরিদ্র মানুষের জীবিকার বিরুদ্ধাচরণ করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের মধ্যে দাঙ্গা লাগানো, কাশ্মীরের মানুষের রোজগার বন্ধ করা।”
দিনে করতেন সেলাই, রাত নামলেই অন্য ‘খেলা’! ছেলেকেও ডেকে নিলেন তাতে… একে একে যা সামনে এল!
দর্শক তাঁকেই ‘ঈশ্বর’ ভাবত, ২ বার বিয়ে করেও টেকেনি! ৪ সন্তানের বাবা, আজ পাশে কেউ নেই ভগবানের!
advertisement
এই বক্তব্যের পরই তৃণমূল কংগ্রেস স্মরণ করিয়ে দেয়— কাশ্মীরের পর্যটন পুনরুদ্ধার করতে শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম বিদেশে প্রতিনিধি দলে থেকে আন্তর্জাতিক মহলে বার্তা দিয়েছিলেন যে, পাকিস্তানের এই আক্রমণ কাশ্মীরের অর্থনীতি ধ্বংসের উদ্দেশ্যে, এবং সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করতে হবে সম্মিলিত উদ্যোগে। অভিষেকের কণ্ঠে সেদিন শোনা গিয়েছিল:
“আমার বিনীত অনুরোধ, আপনারা যখনই ভারত সফরে আসবেন, কাশ্মীরে ৩-৪ দিন থাকুন— এতে স্থানীয়দের সাহায্য হবে।”
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “মোদির আজকের ভাষণ শুনে মনে হল, যেন অভিষেকের ভাষণই টেলিপ্রম্পটারে রেখে পড়লেন! পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (POK) ফেরানোর বিষয়ে কিছুই বললেন না। অথচ অভিষেক সেনার পাশে দাঁড়িয়ে সেটাও স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন।”
কুনাল বলেন, “মোদি বাংলায় যেখানে খুশি আসতে পারেন৷ নানা রঙের লোকজন আগেও এসেছেন। এসে কি হয়েছে? হেরেছেন ওনারা৷ ওনারা যতবার আসবেন তাতে বাংলার মানুষ দেখছে খালি হাতে আসছে৷ কোনও বকেয়া টাকা দিচ্ছে না৷
পশ্চিমবঙ্গ দিবস ঠিক হয়ে গেছে৷ বিশিষ্টদের মতামত নিয়েই পয়লা বৈশাখ ঠিক হয়ে গেছে৷ ওরা জোর করে চাপিয়ে দিতে চাইছে ২০ জুনকে। কিন্তু বাংলার শিল্পী, গবেষকরা পয়লা বৈশাখ পালন করছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস।”
কুনালের কথায়, “বিজেপি গীতা পাঠ করাচ্ছে নানা সময় ধরে। কিন্তু তার সাথে বাংলার মানুষের সম্পর্ক নেই৷ রাজনৈতিক প্রভাব পড়বে না৷” উঠে আসে করোনা প্রসঙ্গও। কুনাল জানান, কোভিড নিয়ে অকারণ আতঙ্ক নয়, পরিকাঠামো যথাযথ। “অকারণ আতঙ্ক ছড়িয়ে লাভ নেই। স্বাস্থ্য দফতর প্রস্তুত। বিজেপি আগে নিজের রাজ্যগুলোর পরিস্থিতি দেখুক। বাংলা যথাযথ পরিকাঠামো বজায় রেখে চলছে।”
অভয়ার বিচার প্রসঙ্গে কুনাল বলেন, “বাংলায় কেউ ছাড় পায়নি। আজ যেটা নিয়ে আফসোস করছেন, তার জন্য ওনারাই দায়ী। নিজেরাই বলছেন, সিবিআইয়ের ওপর ভরসা নেই। কাউকে তো বিশ্বাস করতে হবে! রাজনৈতিক মঞ্চে ঘুরে বেড়ে সমাধান হয় না।”
জগন্নাথ প্রসাদ বিতর্কে কুণাল বলেন—
“ওনার বাড়ির লোক যেতে চাইছে, মেজদা বারণ করেছেন বলে যেতে পারছে না। কালো কাচ তোলা গাড়ি থেকে অনেকবার প্রণাম করেছেন। আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। প্রসাদ যাবে ও বাড়িতেও, সব বাড়িতে।”