দর্শক তাঁকেই 'ঈশ্বর' ভাবত, ২ বার বিয়ে করেও টেকেনি! ৪ সন্তানের বাবা, আজ পাশে কেউ নেই ভগবানের!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
সেই কৃষ্ণ আর হাসেন না। হয়ত পর্দার সেই শান্ত হাসি ছিল এক মুখোশ, যার আড়ালে জমে ছিল যন্ত্রণার এক পাহাড়। অথচ, আমরা তাঁকে দেখলে এখনও কৃষ্ণকেই দেখি—দর্শকের মনে এখনও তিনি ঈশ্বরতুল্য। কিন্তু ঈশ্বররাও কি কষ্ট পান না?
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
এক সময়, যখন তিনি টেলিভিশনের পর্দায় মহাভারতের কৃষ্ণ রূপে আবির্ভূত হতেন, তখন তাঁর মুখের হাসিতে যেন ঈশ্বরেরই আভাস পাওয়া যেত। দর্শকদের মনে যিনি আনন্দ ও শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতেন, আজ সেই মানুষটি নিজেই যন্ত্রণায় বিদ্ধ এক যোদ্ধা। এমনটা হয়ত পর্দার পেছনের গল্পেই হয়, যেখানে বাস্তব কখনও কখনও কল্পনার থেকেও বেশি নির্মম।
advertisement
নিতীশ ভরদ্বাজ ১৯৯১ সালে বিয়ে করেছিলেন মনীষা পাতিলকে, যিনি বিখ্যাত ম্যাগাজিন এডিটর বিমলা পাতিলের কন্যা। তাঁদের একটি পুত্র ও একটি কন্যা রয়েছে। প্রায় ১৪ বছর তাঁদের দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হয়। কিন্তু মতবিরোধ ধীরে ধীরে সম্পর্কে ফাটল ধরায় এবং শেষপর্যন্ত বিচ্ছেদ ঘটে। কেন বিচ্ছেদ ঘটেছিল তা স্পষ্টভাবে কখনও সামনে আসেনি, তবে এই ঘটনাই তাঁর ব্যক্তিজীবনে নেমে আনে প্রবল অস্থিরতা।
advertisement
advertisement
নিতীশ পরে স্মিতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান। তাঁর দাবি, স্মিতা তাঁকে মানসিকভাবে অত্যাচার করতেন এবং মেয়েদের সঙ্গে দেখা করতেও বাধা দিতেন। নিতীশ বলেন, তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী স্কুল বদলে বদলে মেয়েদের লুকিয়ে রাখতেন, যাতে তিনি দেখা না করতে পারেন। এক সাক্ষাৎকারে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি নিতীশ। বলেছিলেন, তাঁর মেয়ের মুখে, “তোমাকে বাবা বলতে ঘেন্না হয়”—এই কথা শুনে যেন হৃদয় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়।
advertisement
advertisement
advertisement
মূলত পশু চিকিৎসাবিদ্যায় স্নাতক হলেও, সে পেশায় আনন্দ না পেয়ে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন। প্রথমে মারাঠি থিয়েটার, তারপর হিন্দি নাটকে অভিনয় শুরু করেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে বিআর চোপড়ার ‘মহাভারত’-এ কৃষ্ণের চরিত্রে সুযোগ পান। সেই এক চরিত্রই তাঁকে রাতারাতি তারকা করে তোলে। এরপর ‘রামায়ণ’, ‘বিষ্ণুপুরাণ’-এর মতো ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন।
advertisement