ইতিমধ্যেই রেলকে চিঠি পাঠিয়েছে রাজ্য, যাতে দ্রুত সম্ভব টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু করা যায়। নিয়ম অনুযায়ী, রেললাইনের উপরের অংশে থাকা ব্রিজ তৈরির দায়িত্ব রেলের। বাকি দু’দিকের দায়িত্বে রাজ্য। বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, টালা ব্রিজ ভাঙা ছাড়া উপায় নেই।
১৯৬২-তে চালু। ৬৭৫ মিটার দীর্ঘ ৫৭ বছরের পুরনো টালা ব্রিজ ভেঙে ফেলাই এখন ইঞ্জিনিয়রদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। নিরাপত্তা থেকে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ। সবদিকেই নজর রাখতে হবে ইঞ্জিনিয়রদের।
advertisement
টালা ব্রিজ ভাঙতে ইঞ্জিনিয়রদের পাঁচটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, প্রথমত-যেখানে ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হয়েছিল, সেখান থেকেই ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে।
ব্রিজের কাছে রয়েছে বাড়ি। সেতুর নিচে রয়েছে চক্ররেল, পণ্যবাহী-দূরপাল্লার ট্রেনের কারশেডও রয়েছে। ব্রিজ ভাঙতে গিয়ে যেন কোনও সম্পত্তি নষ্ট না হয় তাও খেয়াল রাখতে হবে। টালা ব্রিজের আশপাশে বাড়ি। সেতুর নীচে চক্ররেল ও কারশেড।
এছাড়াও, ব্রিজ ভাঙতে গিয়ে যেন পরিবেশ দূষণ না হয়। কর্মীদের সবরকম নিরাপত্তা ও অল্প সময়ে কম খরচে ব্রিজ তৈরির দিকেও নজর দিতে হবে ইঞ্জিনিয়রদের।
এই কাজ চলার সময়, যাতায়াত চালু রাখতে টালা সেতুর পাশ দিয়ে লেভেল ক্রসিং তৈরি করা সম্ভব।
টালা ব্রিজের পাশে লেভেল ক্রসিং তৈরি করা সম্ভব
সেতুর দুই দিকে দ্বিমুখী গাড়ি চলাচল করতে পারে
পরীক্ষায় ধরা পড়েছে, এভাবেই ব্রিজের নিচের গার্ডারগুলি ঝুলে গিয়েছে। লেভেল ক্রসিংয়ের অনুমতি পেলে কাজ শেষ করতে এক মাস সময় লাগবে। ব্রিজের পাশে লেভেল ক্রসিং দিয়ে যান চলাচল করলে যানজট খানিকটা কমিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে নতুন যাতায়াত ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব।