চুঁচুড়ায় বিজেপির প্রাক পুজো সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মিঠুন বলেন, ঘাসফুল শিবিরের বড় সংখ্যক বিধায়ক ও নেতা তাঁদের সঙ্গে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে দিল্লির সঙ্গে যোগাযোগে রয়েছেন। তাঁর দাবি, সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। ২১ জন তাঁর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগে রয়েছেন। আর সবমিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৩৮।
যদিও মিঠুনের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শিবির। তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের বক্তব্য, "কে মিঠুন? দলে ওর কী অস্তিত্ব আছে? কী পরিচয় আছে? ওর কথার কোনও গুরুত্ব নেই। ঠুন চক্রবর্তীর এই সংখ্যাতত্ত্বের বিষয়কে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘বিজেপির রাজ্য নেতারা যে অপদার্থ। সেই কারণে অতিথি শিল্পী হিসাবে মিঠুন চক্রবর্তী এসেছেন। মিঠুন দা হার হজম করুন। না হলে বলুন আমরা জোয়ানের হজমি পাঠাব। আর মিঠুন দা 'দিওয়ার' মনে রাখুন, হামারে পাস দিদি হ্যায়। ফলে ১০,১৩,২১,৪০ বিধায়ক আছে বলে লাভ নেই।’’
advertisement
ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। গা গরম করা ছবির সংলাপ আউড়ে চাঙ্গা করেছিলেন বাংলা বিজেপিকে। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি হেরে যাওয়ার পর বাংলার রাজনীতি থেকে কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি ফের বাংলায় প্রত্যাবর্তন করেছেন 'ফাটাকেষ্ট' মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে রাজি নয় বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।
পুজোর পিচে এবার পদ্মের 'মুখ' মিঠুন চক্রবর্তী। দুই বঙ্গে একাধিক কর্মসূচি। শনিবার কলকাতায় প্রাক পুজো সম্মিলনী সেড়ে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন মিঠুন। রবিবার, মহালয়ার সকালে মালদা পৌঁছন। সঙ্গী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। মিঠুন বলেন, 'আজ মহালয়া। স্বপক্ষ-বিপক্ষ সবার জন্য প্রার্থনা করছি। সকলে ভাল থাকবেন। সবাই পুজো ভাল করে কাটান'।
সাংবাদিক বৈঠকে শাসক দল ও সরকারের বিরুদ্ধে মিঠুনের গলায় ছিল চড়া সুর। তিনি বলেন, 'যারা বড় বড় কথা বলছেন, লোককে ইনসাল্ট করছেন, তাঁদের সমাধিতে প্রদীপ জ্বালানোর লোক নেই। এটা আমি দেখেছি। দ্যট টাইম ইস কামিং ভেরি সুন'। তৃণমূলকে নিশানা ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে তাঁকে বিঁধে মিঠুনের ‘পুষ্পবৃষ্টি’ আক্রমণ।
আরও পড়ুন: 'যে মানুষটা পুজো নিয়ে বেঁচে থাকতেন...', একডালিয়া উদ্বোধনে সুব্রত স্মরণ মমতার
বললেন, 'আমাকে বলেছিলেন আমি ডায়লগ দিয়েছি বলে হিংসা হয়েছে। এখন সব পুষ্পবৃষ্টি হচ্ছে। 'জিভ কেটে দেব' পুষ্পবৃষ্টি। 'এখানে গুলি মারব', এটা পুষ্প বৃষ্টি? প্রশ্ন তোলেন মিঠুন। 'মিঠুন যেখানেই যাবেন সেখানেই তৃণমূলের ভোট বাড়বে'। তৃণমূলের এই কটাক্ষের কিছুটা রসিকতার সুরে জবাবও দেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর মন্তব্য, দলকে বলব, তাহলে আমাকে সেইসব জায়গায় না পাঠাতে'। সেই মিঠুনই আবার মঙ্গলবার বলেন, 'তৃণমূলের সবাই চোর নয়।'
