এসআইআর হবেই বঙ্গে, জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে চন্দ্রিমা জানালেন, ‘‘হবেই, কী করে হয় সেটাও দেখব৷ গণতন্ত্র যেটা বলবে সেটা হবে। অগণতান্ত্রিক কিছু হলে বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদেরা সংসদে যা বলেছে তার পরে নির্বাচন কমিশন বুঝতে পেরেছেন বলেই আমার মনে হয়৷’’
advertisement
নির্বাচন কমিশন কেন্দ্র সরকারের পক্ষে কাজ করেছে, এ অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল গান্ধি-সহ অন্যান্য বিরোধী দলনেতারা। রবিবার বৈঠকে কমিশনের ঘোষণা, নির্বাচন কমিশনের কাছে কেউ পক্ষ, বিপক্ষ নয়। সবাই সমকক্ষ। যদিও চন্দ্রিমার দাবি, ‘‘সেটা কী আমরা দেখছি? এখন যখন নির্বাচনমুখী রাজ্য সেখানে হচ্ছে। নাম কাটার আগে হেয়ারিং দেওয়া হচ্ছে। তাহলে কী নিরপেক্ষ?’’
‘ভোটচুরি’ বিতর্ক কমিশন জানিয়েছে, ‘‘প্রমাণ না দিয়ে চুরি শব্দ ব্যবহার করলে তা অসাংবিধানিক’’। অসাংবিধানিক বলায় তীব্র আপত্তি চন্দ্রিমার। তিনি বলেন, ‘‘উনি থামুক। তার কথায় সংবিধান হবে না। ভোট চুরি বললে অসাংবিধানিক হয়ে গেল৷ আর যখন কেউ বললেন বাংলা ভাষা সংবিধানে নেই কই তখন তো নির্বাচন কমিশনের সংবিধান বলতে দেখলাম না।’’
গ্রামের ভোটারে শহরে এসে ভোট দেওয়া প্রসঙ্গে চন্দ্রিমার প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওসব ছাড়ুন। এটা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। গ্রাম ও শহরের দূরত্ব নির্বাচন কমিশন বোঝেন না। ডগ বাবুও এসেছেন, ক্যাট বাবুও এসেছেন। ওসব বলে লাভ নেই। আর এর নিরিখে যদি ভোট দান হয়েছে তাহলে সংবিধান ভেঙে দিক আগে। ’’
বাংলার মানুষ নির্বাচন কমিশনকে ভয় পায় না। স্পষ্ট বার্তা চন্দ্রিমার। তিনি বলেন, ‘‘ওনাকেও(নির্বাচন কমিশনকে) কেউ ভয় করছেন না। বাংলার মানুষ ভয় পাচ্ছে না।’’ মানুষের মধ্যে SIR নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে রাজনৈতিক দলগুলি। এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের জবাব দেওয়া প্রয়জন নেই। ওরা যাদের দ্বারা কন্ট্রোল হয় তারা এটা করছে না। কিন্তু যারা সংবিধানকে সম্মান করে তারা প্রশ্ন তুলছে এস আই আর নিয়ে।’’