এখানেই শেষ নয়, এয়ারপোর্টের ১ নম্বর গেট থেকে টার্মিনাল ফ্লাইওভার পর্যন্ত রাস্তা ও বেড়া দেওয়ার কাজও সম্পূর্ণ। মেটেরোলজিকাল বিল্ডিং ও বিমানবন্দর চত্বরে যাতে যাত্রীরা যথাযথভাবে যাতায়াত করতে পারেন তার ব্যবস্থাও আলাদা করে দেওয়া হয়েছে।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে শহরের একাধিক মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলছে। বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি খ্রীষ্টান কবরখানার নীচে একটি জোড়া টানেল তৈরির ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু খ্রীষ্টান ব্যুরিয়াল বোর্ডের সহযোগিতার কারণে কাজ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: দার্জিলিং মেলে নিশ্চিন্তে ঘুম... সকালে ঘুম ভাঙতেই চক্ষুচড়কগাছ! যা দেখলেন অশোক ভট্টাচার্য
জি-২০ সামিটের কথা মাথায় রেখে ১৫,০০০ বর্গমিটার জুড়ে সৌন্দর্যায়নের কাজও হয়েছে। কৌশিক মিত্র বলেন, "বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, ডাক বিভাগ আমাদের সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করেছেন এই সব কাজ করার জন্য। বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনের যাবতীয় বাধা কাটাতে সবরকমভাবে সমর্থন করেছেন।
আরও পড়ুন: টার্গেট মতুয়া ভোট! 'পাশেই আছি...' তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বার্তা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের
কেমন দেখতে হচ্ছে বিমানবন্দর স্টেশন? মাটির ১৪ মিটার নীচে হচ্ছে এই স্টেশন। থাকছে ৬টি প্ল্যাটফর্ম। বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ১৮০ মিটার করে লম্বা হবে। তবে সম্পূর্ণ স্টেশন এলাকা হচ্ছে ৩২০ মিটার। ৬৩৩ মিটার এলাকা জুড়ে এই স্টেশন বিল্ডিং বানানোর কাজ চলছে।
অন্যদিকে দ্রুত চলছে বিমানবন্দরের স্টেশনের ইয়ার্ড বানানোর কাজ। এখানে থাকছে ৫টি লাইন। ইয়ার্ড চওড়া হবে ৪৮ মিটার। স্টেশনের মধ্যে থাকছে একটা ক্রস প্যাসেজ। স্টেশনের একদিকে যশোর রোড, অন্যদিকে কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছনো যাবে। কিছুদিনের মধ্যেই স্টেশনের নকশা তৈরি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই বিমানবন্দর স্টেশনের উপরের অংশের ছাদের ঢালাইয়ের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এই স্টেশন এলাকার কাজ ২০২৩ সালে শেষ করা হবে।