প্রসঙ্গত এই শিবিরে, শ্রী রবি শঙ্করের ‘আর্ট অফ লিভিং’ সম্পর্কেও পাঠদান হচ্ছে। এই উদ্যোগও মেট্রোকর্মীদের উত্তেজনা এবং চাপ কমানোর কাজ করবে। পাঁচ দিনব্যাপী এই শিবিরে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে যোগব্যায়াম, ধ্যান, সুদর্শন ক্রিয়ার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। চাপমুক্ত থাকতে এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে শান্তভাবে মোকাবিলা করতেই মেট্রোকর্মীদের এই প্রশিক্ষণের আয়োজন।
অন্ধকার সুড়ঙ্গ দিয়ে ছুটে চলেছে ট্রেন৷ কখনও আবার মাটির উপর দিয়ে ছুটছে ট্রেন। মেট্রো চালাতে গিয়ে কলকাতায় বিস্তর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় চালকদের। বাড়ছে মেট্রোর নেটওয়ার্ক। বাড়ছে মেট্রোর গতি। এই অবস্থায় মেট্রোরেলের চালকদের উপর বাড়ছে চাপ। কারণ মেট্রোয় মোটরম্যান কম বলে অভিযোগ তুলছে ইউনিয়নগুলি৷ এই অবস্থায় মেট্রো পথে চালকদের মনসংযোগে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তাই মোটরম্যান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করে রেল।
advertisement
আরও পড়ুন : দলীয় শৃঙ্খলা থেকে জনসংযোগ, নানা ইস্যুতে বার্তা; বিধায়কদের নিয়ে আজ বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অতিরিক্ত কাজের চাপে নাজেহাল মেট্রোরেলের চালকরা। তার উপর তাঁরা যদি বাড়ি ফিরে পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পান, তা হলে মনসংযোগে ব্যাঘাত ঘটবেই। সামান্য ভুলে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। চালকরা যাতে বাড়িতে পর্যাপ্ত বিশ্রামের সুযোন পান, মন-মেজাজ ঠিক রাখতে পারেন, সে জন্য তাঁদের সহধর্মিণীদের কাছে সহযোগিতা চাইছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষ্যে কলকাতা মেট্রোর চালকদের স্ত্রী ও পরিবারের লোকেদের বিশেষ কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মানসিক চাপ কমাতে চালকদের নিয়মিত যোগাভ্যাস এবং মেডিটেশনের পরামর্শ দিচ্ছেন মেট্রো কর্তারা।কর্তৃপক্ষের দাবি, ট্রেন চালানোর জন্য চালকদের মানসিক চাপমুক্ত থাকা সবার আগে দরকার। কারণ তাদের কাজে মস্তিষ্ক স্থির, গভীর মনসংযোগ দরকার। ট্রেনের সামনের ট্র্যাক খেয়াল রাখার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য রাখতে হয় সিগন্যালও। ক্ষণিকের ভুলে হতে পারে বড় বিপদ।