একাদশ-দ্বাদশ ও নবম-দশম স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দায়ের হওয়া আরও একটি মামলায় বেকায়দায় স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ এসএসসি-এর মডেল উত্তরপত্র দেওয়া উত্তর নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীরা ৷ কুন্তল সামন্ত ও পীযুষ সেনাপতি সহ মোট ৬১ জন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে জানায়, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মডেল অ্যানসার ভুল ৷ কারণ- তাদের দেওয়া উত্তরই সঠিক ৷
advertisement
মামলাকারীদের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি শেখর ববি সরাফ নির্দেশ দিয়েছেন, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তিনটি প্রশ্নে কমিশনের দেওয়া উত্তর ভুল এবং একইভাব উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর ভুল ৷ উল্লেখ্য দুই স্তরের পরীক্ষাতেই ইতিহাসের প্রশ্নে এমন উত্তর ভুল করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন ৷ এই মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, মামলাকারীদের উত্তর সঠিক হলে তাদের ওই প্রশ্নের জন্য প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের নাম বিবেচনা করতে হবে ৷
আরও পড়ুন
প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে, জানাল হাইকোর্ট
মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘বোর্ডের দেওয়া উত্তর ভুল ছিল ৷ মামলাকারীদের উত্তর সঠিক হওয়ায়, ইতিহাসের মেধা তালিকা পুনর্বিন্যাস করতে হতে পারে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ৷ সেক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে মেধাতালিকায় অদলবদল হতেই পারে ৷’
উচ্চপ্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক তিন স্তরেরই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব এই মুহূর্তে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ঘাড়ে ৷ তিন স্তর মিলিয়ে শূন্যপদ প্রায় ৩২ হাজারেরও কিছু বেশি ৷ মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ১৩ হাজার শূন্যপদের জন্য পরীক্ষায় বসেন প্রায় এক লাখ ৪৩ হাজার পরীক্ষার্থী ৷ উচ্চমাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৫ হাজার শূন্যপদের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ২৩ হাজার ৷ এই বিপুল পরিমাণ পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যত এখন আইনি ফাঁসে আবদ্ধ ৷
আরও পড়ুন
আশঙ্কায় চাকরিপ্রার্থীরা, শিক্ষক নিয়োগে প্রকাশিত তালিকা নিয়ে হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে SSC
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় খুঁত যে রয়েছে তা ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে স্পষ্ট হয়েছে ৷ দিন দিন মামলার সংখ্যা বাড়ছে, বিলম্বিত হচ্ছে নিয়োগ ৷ আইনি অস্বস্তি শেষ হয়েও যেন হচ্ছে না শেষ ৷ যত সময় যাচ্ছে বিদ্যালয়গুলিতে দিনদিন বেড়ে চলেছে শূন্য পদ ৷ শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখতে অবিলম্বে রাজ্যে আরও শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ৷
রিপোর্টার- অর্ণব হাজরা