প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে, জানাল হাইকোর্ট
Last Updated:
#কলকাতা: অবশেষে পাঁচ বছর পর ভুল স্বীকার। প্রাথমিক টেট ২০১২-এ অনিয়ম হয়েছে, ভুল স্বীকার করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অনিয়ম হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণে জানিয়ে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও। তবে এযাত্রায় জরিমানার টাকা গুণে সম্ভবত রেহাই পাচ্ছে পর্ষদ। মামলাকারীদের কত টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সেই অঙ্ক স্থির করে দেবে ডিভিশন বেঞ্চ। টেট বাতিলের আপিল মামলায় জানাল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আপাতত স্বস্তিতে প্রায় ১৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। শুক্রবার এই মামলার চুড়ান্ত রায়দান।
২০১২ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে বলে জানাল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তবে অনিয়ম সত্ত্বেও আদালত ২০১২-এর নিয়োগ বাতিল না করায় বিরাট স্বস্তি ইতিমধ্যে নিযুক্ত প্রায় ১৭ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জন্য ৷ মামলাকারীদের দাবিকে মান্যতা দিয়ে অনিয়মের জন্য ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্ত বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের ৷
advertisement
টেট বাতিল আপিল মামলায় বৃহস্পতিবার সামনে এল বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ ৷ গতকালই আদালত জানিয়েছিল, প্রাথমিক টেট ২০১২ বেআইনি নয়, কিন্তু তাতে কিছু অনিয়ম লুকিয়ে থাকতে পারে । এদিন সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে আদালত মামলাকারীদের দাবিকেই মান্যতা দিয়ে জানায় ২০১২ প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় অনিয়ম হয়েছে ৷
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন
২০১২ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ ২০১৩ সালে এই পরীক্ষায় বসেন প্রায় ৪৫ লক্ষ পরীক্ষার্থী ৷ কিন্তু পরীক্ষায় সিলেবাস বহির্ভূত প্রশ্নের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাজা চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক পরীক্ষার্থী ৷ প্রথমে সিঙ্গলবেঞ্চে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে চলে এই মামলার শুনানি ৷ এনসিটিই অর্থাৎ ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন তাদের হলফনামা দিয়ে হাইকোর্টকে জানায়, প্রাথমিক টেট ২০১২ -এর কিছু প্রশ্ন সিলেবাস বহির্ভূতই এসেছে । সিলেবাসের বাইরে প্রশ্ন আসার বিষয়টিকে মান্যতা দিলেও পরীক্ষা বাতিলের নির্দেশ দেননি বিচারপকি বসাক । এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন অসন্তুষ্ট পরীক্ষার্থীরা ৷
advertisement
আরও পড়ুন
সেই মামলার শুনানিতে বুধবার অর্থাৎ গতকালই ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছিল, টেট পরীক্ষায় কোনও অনিয়ম হয়েছিল তা যদি ধরা পড়ে, তাহলে ইতিমধ্যে নিযুক্ত প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যাওয়ার মতো কোনও আশঙ্কা নেই ৷ তাদের ভবিষ্যতের স্বার্থেই মামলাকারীদের পরীক্ষা বাতিলের পরিবর্তে অন্য কোনও বিকল্প জানাতে বলে ডিভিশন বেঞ্চ ৷ সেই বিকল্প হিসেবেই এদিন উঠে এল ক্ষতিপূরণের প্রসঙ্গ ৷ হাইকোর্ট নির্ধারিত ক্ষতিপূরণের অঙ্ক পাবেন সমস্ত মামলাকারী ৷
advertisement
রিপোর্টার- অর্ণব হাজরা
view commentsLocation :
First Published :
July 26, 2018 4:30 PM IST

