যেগুলো খালের পাশ দিয়ে গিয়েছে, শহরের সেই সব ছোট ছোট সেতু সেতুগুলির দেখভালের দায়িত্ব গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। সেক্ষেত্রে কোন ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্বে থাকছে সেই ব্রিজ, তাঁর নাম, ফোন নম্বর, ডিপার্টমেন্টের নাম উল্লেখ করা থাকবে সেতুতে। যাতে ব্রিজ মেরামতি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা চোখে পড়লেই নাগরিকরা জানাতে পারেন নির্দিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে। দ্রুত এই প্রক্রিয়া কার্যকর করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার করে সেই ব্রিজ বা সেতু পরিদর্শন করতে হবে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে।
advertisement
আরও পড়ুন: মিলেনিয়াম পার্কে ঢুকতে গেলে লাগবে না কোনও প্রবেশমূল্য! কবে থেকে? বিরাট সিদ্ধান্ত পুরসভায়
বুধবার কলকাতা পুর অধিবেশনে সেতু সংক্রান্ত প্রশ্ন তোলেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ১২ নম্বর ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সংলগ্ন একটি ফুট ব্রিজ ও একটি বেইলি ব্রিজ আছে। তবে ব্রিজগুলোতে আলো নেই। ফলে পথচারী ও গাড়ি চালকদের সমস্যা হয়। কীভাবে ব্রিজগুলোতে আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে, সেই নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এসএসসি-তে বয়স ভাঁড়িয়ে নিয়োগের অভিযোগ, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আদালতের
মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, এবার থেকে সমস্ত ছোট সেতু যেগুলো খাল সংলগ্ন, তার দেখভাল করবে কেএমডিএ। তবে পরিষ্কার করার দায়িত্বে থাকছে কলকাতা পুরসভা। তবে দেখভালের ক্ষেত্রে যে ইঞ্জিনিয়ারের উপর দায়িত্ব থাকবে সপ্তাহে একদিন সেতু ভিজিটে যেতে হবে তাঁকে। যাতে কোনও সমস্যা থাকলে তার দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।
কলকাতা শহরে সেতু বিপর্যয় নতুন ঘটনা নয়। ২০১৮ সালে ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট সেতু। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে শহরের একাধিক উড়ালপুলগুলির অবস্থা জানতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। তৈরি হয় ব্রিজ এক্সপার্ট কমিটি। এই কমিটি নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে শহরের সব উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে থাকে।
সে কথা স্মরণ করিয়ে মেয়র বলেন, এবার ছোট ছোট সেতু বা খালের উপরের ব্রিজগুলিকেও হালকা ভাবে নিলে চলবে না। নাগরিকদের কাছ থেকে যেমন ফিডব্যাক পাওয়ার জন্য ফোন নম্বর দিতে হবে তেমনই সংশ্লিষ্ট দফতরের কেউ প্রতি সপ্তাহে অন্তত পরিদর্শন করে দেখতে হবে যে সেতুগুলির অবস্থা কেমন রয়েছে।