TRENDING:

Maynaguri Train Accident: রেলের বড়সড় গাফলতি, পরীক্ষা হয়নি ইঞ্জিনের! ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনার সিআরএস রিপোর্ট কী রয়েছে?

Last Updated:

দোমহনীর ওই ট্রেন দুর্ঘটনার পরই কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটিকে দুর্ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় (Maynaguri Train Accident)৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: নিউজ ১৮ বাংলার খবরেই সিলমোহর৷ কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির রিপোর্টেও স্বীকার করে নেওয়া হল, ইঞ্জিনের ত্রুটিতেই গত ১৩ জানুয়ারি ময়নাগুড়ির দোমোহনিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেস (Bikaner Guwahati Express Accident)৷ সিআরএস রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, নির্দিষ্ট দূরত্বের চার গুণ পথ অতিক্রম করে ফেললেও ওই ইঞ্জিনটির কোনও পরীক্ষাই করা হয়নি৷ পরীক্ষা না করেই যে ওই ইঞ্জিন ছুটছিল, দুর্ঘটনার পরেই তা তুলে ধরেছিল নিউজ ১৮ বাংলা (Maynaguri Train Accident)৷
ইঞ্জিনের ত্রুটিতেই ময়নাগুড়ির ট্রেন দুর্ঘটনা৷
ইঞ্জিনের ত্রুটিতেই ময়নাগুড়ির ট্রেন দুর্ঘটনা৷
advertisement

দোমোহনির ওই ট্রেন দুর্ঘটনার পরই কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটিকে দুর্ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ বৃহস্পতিবার সেই তদন্ত রিপোর্টই জমা পড়েছে রেল বোর্ডের কাছে৷ তদন্ত রিপোর্টের শুরুতেই দাবি করা হয়েছে, আপ বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে যে ওয়্যাপ ফোর ইঞ্জিন লাগানো ছিল, প্রত্যেক সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করার পরই সেই ইঞ্জিনের ট্রিপ ইন্সপেকশন হওয়ার কথা৷ কিন্তু ১৮ হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই ইঞ্জিনের কোনও পরীক্ষাই হয়নি৷

advertisement

আরও পড়ুন: দোমোহনি রেল দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে গ্রামবাসীদের ভয় তাড়ানোর চেষ্টা করলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা

রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ইঞ্জিনটির শেষ পরীক্ষা হয়েছিল ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর৷ তার পর একমাসে ১৮ হাজার কিলোমিটার অতিক্রম করলেও নিয়ম মেনে ইঞ্জিনের কোনও ট্রিপ ইন্সপেকশন হয়নি৷ শেষ পর্যন্ত ১৩ জানুয়ারি দোমোহনিতে লাইনচ্যুত হয় ইঞ্জিনটি৷ যার জেরে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি৷ মৃত্যু হয় ৯ জন যাত্রীর৷

advertisement

সিআরএস রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, রেলের ভাষায় ২২৩৭৫ নম্বর ইঞ্জিনটি একটি মিস লিঙ্ক ইঞ্জিন৷ অর্থাৎ আদতে ইঞ্জিনটি আগ্রা ক্যান্টনমেন্ট ডিভিশনের হলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেলের অন্যান্য ডিভিশনেও চলত ইঞ্জিনটি৷ আর তা করতে গিয়েই সম্ভবত সময়মতো ইঞ্জিনের পরীক্ষার বিষয়টি নজর এড়িয়ে যায়৷

আরও পড়ুন: ভূত ধরতে ব্যর্থ পুলিশ! এবার রহস্য ভেদে 'রাত জাগা' বিডিও সহ বিজ্ঞান মঞ্চ

advertisement

রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়েছে, ট্রিপ ইনস্পেকশন ইঞ্জিনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পরীক্ষা৷ এই পরীক্ষার সময় ইঞ্জিনের নীচের অংশে আন্ডারগিয়ার পরীক্ষা করে সেটি চলাচলের উপযুক্ত কি না তা সুনিশ্চিত করেন রেলের প্রশিক্ষিত অফিসাররা৷ অথচ নির্দিষ্ট সময়ে সেই পরীক্ষা ছাড়াই যাত্রীবাহী ট্রেন নিয়ে ছুটছিল ওই ত্রুটিপূর্ণ ইঞ্জিন৷ দুর্ঘটনার পরই দেখা যায়, ইঞ্জিনের নীচের ট্র্যাকশন মোটর ভাঙা অবস্থায় রয়েছে৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাত্র ২ লক্ষ টাকায় ১০ লক্ষ টাকার ড্রোন, আছে লোনের সুবিধা! ঘরে বসে সারাবছর আয়
আরও দেখুন

সিআরএস রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে, যাত্রী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে সব ইঞ্জিনের সময়মতো ট্রিপ ইন্সপেকশন করাতেই হবে৷ পাশাপাশি যে যে স্টেশনে এই পরীক্ষা হয়, সেখােনও যাতে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকে, তাও সুনিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে রিপোর্টে৷

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Maynaguri Train Accident: রেলের বড়সড় গাফলতি, পরীক্ষা হয়নি ইঞ্জিনের! ময়নাগুড়ির দুর্ঘটনার সিআরএস রিপোর্ট কী রয়েছে?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল