সূত্রের খবর, সকাল থেকেই দফায় দফায় রাস্তা বন্ধ করা হবে তাই বিকল্প রাস্তার সন্ধান ও দিয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। বিজেপির নবান্ন অভিযানের জন্য তিনটি মিছিলের মধ্যে একটি মিছিল শুরু হবে কলেজ স্কোয়ার থেকে। ওই জায়গায় ১৪৪ ধারা থাকায় কোন বেআইনি জমায়েত করতে দেবে না বলে লালবাজার সূত্রের খবর। মিছিলের অনুমতি না থাকায় পুলিশের কড়া মনোভাব দেখা যাবে বিজেপির নবান্ন অভিযানে।
advertisement
কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল মহাত্মা গান্ধি রোড দিয়ে হাওড়া ব্রিজ ধরার মুখেই আটকে দেওয়া হবে। দুটি সেতুর মুখে আটকাবার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে গার্ডরেল, বাঁশের ব্যারিকেড ও অ্যালুমিনিয়াম গেট। মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানের শহরে মোতায়েন থাকবে প্রায় দুই হাজার পুলিশ কর্মী। একজন স্পেশাল পুলিশ কমিশনার, পাঁচ জন যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার, আঠারো জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার, বত্রিশ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার, ইনস্পেক্টর বাষট্টি জন, সাব-ইনস্পেক্টর ১২৪ জন, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর ১২৬ জন ও কনস্টেবল থাকছে ৭৭৪ জন। মহিলা পুলিশের মধ্যে থাকছে ইনস্পেক্টর মহিলা ৫ জন, সাব ইনস্পেক্টর ২১ জন, অ্যাসিস্ট্যান্স সাব ইনস্পেক্টর ২৬ জন ও মহিলা কনস্টেবল ১১৪ জন।
আরও পড়ুন: 'বিরোধীরা যাই বলুক, বুনিয়াদি শিক্ষায় সেরা বাংলাই', মমতার মুখে সাফল্যের হিসেব
আরও পড়ুন: 'আমি নিজেই ইনভেস্টিগেশন করি...', 'সত্যিই চাকরি রেডি তো?' নথি ঘেঁটে উত্তর খুঁজলেন মমতা
এছাড়াও রির্ভাস ফোর্স সহ পুলিশের কাছে থাকছে কাঁদানে গ্যাস, লাঠি সহ একাধিক সামগ্রী। দুটি বজ্র থাকবে বিজেপির নবান্ন অভিযানে, জল কামান থাকবে পাঁচটি ও অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে পাঁচটি। এছাড়াও HRFS ও QRT পর্যাপ্ত থাকবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। বিজেপি সমর্থকদের গতিবিধি নজর রাখতে ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হবে মঙ্গলবার। জলপথেও নজর থাকবে কলকাতা পুলিশের মঙ্গলবার সকাল থেকেই। বিজেপি সমর্থকদের পজিশন জানতে প্রতি মুহূর্তে আপডেট নেওয়া হবে লালবাজারের কন্ট্রোল রুম থেকে।