এই অভিযোগের ৬০ শতাংশ অভিযোগের কোনও নিষ্পত্তি হয়নি এই জেলায়। একই ভাবে ৮০ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়নি পূর্ব বর্ধমানে। অভিযোগ সংক্রান্ত জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট পর্যালোচনা করে নবান্নে পেশ করা পঞ্চায়েত দফতরের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: তদন্ত ভার নিল সিআইডি, খুশি লালনের পরিবার! আজ রামপুরহাট যেতে পারেন সিবিআই শীর্ষ কর্তাও
advertisement
আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় পুরসভার প্রাক্তন মেয়রের ঘর দখল! অভিযোগ কার দিকে
তাতে দেখা গিয়েছে পাঁচ জেলার ক্ষেত্রে অভিযোগের নিষ্পত্তি না হওয়ার প্রবণতা সব থেকে বেশি। এই জেলাগুলিতে অভিযোগ জানানোর যে পরিকাঠামো তৈরি করতে নবান্ন নির্দেশ দিয়েছিল বিশেষ করে কন্ট্রোলরুমে পর্যাপ্ত লোকের ব্যবস্থা তাও যথাযথ কার্যকর করা হয়নি। এই চার জেলা হল পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদীয়া। দেখা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ৪৪৩৪ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। তদন্ত করে নিষ্পত্তি হয়নি ২৫৭৩টি।পূর্ব বর্ধমানে ১৭৭৯ টি অভিযোগের মধ্যে ১৩৭২ টি অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি। পশ্চিম মেদিনীপুরে ১১৮২ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। ৬০৩ টি অভিযোগের তদন্ত হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৪৭ টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। ২০৬ টি অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হয়নি। নদীয়ায় ৪২২ টি অভিযোগের মধ্যে ১৮৫ টি ক্ষেত্রে দেখা হয়নি।
রাজ্য সরকার স্বচ্ছ উপভোক্তা তালিকা তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই চূড়ান্ত তালিকায় পাকা বাড়ি রয়েছে এমন একজনেরও নাম যাতে না পাওয়া যায় সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। যারা বাঁধা দেবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। গোটা কাজটা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করতে হবে। যোগ্য উপভোক্তার নামের সঙ্গে আধার লিঙ্ক করানো বাধ্যতামূলক। কারণ বাড়ি নার্মাণের খরচ আধার পেমেন্ট বেস সিস্টেমকে ব্যবহার করতে চায় রাজ্য। কেন্দ্রের নির্দেশ মোতাবেক রাজ্যের তরফে তা জানানো হয়েছে জেলাগুলিকে। সবমিলিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসায় অস্বস্তিতে নবান্ন এর শীর্ষ মহল।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়