তথ্য দিয়ে আম আদমি পার্টি জানিয়েছে, ২০১৪ সালে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৩৭ হাজার কোটি টাকা, ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৫৯ হাজার কোটি টাকা, ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২.৫ লাখ কোটি টাকায়। বর্তমান ২০২২ এ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ কোটিতে। আপের অভিযোগ, শুধু দেশেই নয় বিদেশের মাটিতেও নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার মত সুবন্দোবস্ত করে দিয়েছেন আদানিকে। যেমন বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় বিদ্যুতের ঠিকা, অস্ট্রেলিয়ায় মাইনিং।অস্ট্রেলিয়ায় বেসরকারি ব্যাংকগুলি যেখানে আদানিকে লোন দিতে রাজি নয় সেখানে আমাদের দেশের সরকারি ব্যাঙ্ক SBI থেকে ৭.৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে এই সংস্থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: গোপনে Uric Acid বাড়ায়? প্রতিদিন ৯০% মানুষ খায় এই খাবার! আজই জানুন, সতর্ক হন শিগগিরই...
আপ আরও অভিযোগ করে, "যেখানে গরিব সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রয়োজনে দু চার লাখ টাকা ঋণ পেতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়, জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে, কয়েক হাজার টাকা সুদ বা লোন শোধ করতে না পেরে আত্মহত্যা করে জীবন জলাঞ্জলি দিতে হয় সেরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আদানির ৮৪ হাজার কোটি টাকা লোন মাফ করে দেন কোন স্বার্থে তা আমরা দেশের সাধারণ মানুষ জানতে চাই।" আম আদমি পার্টি জানতে চায়, "SEBI, ED, CBI এই ধরনের মহা কেলেঙ্কারিগুলির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না কেন? কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে চলছে কেন?"
আমরা জানতে চাই সাধারণ মানুষের নেওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে বিভিন্ন রকম লোনের সুদের হার বাড়িয়ে মানুষের জীবনকে আর কতটা অসহনীয় করে তুলবে এই সরকার? আদানির বোঝা ঘুর পথে দেশের সাধারণ মানুষ বইতে যাবে কোন স্বার্থে? আপ নেতৃত্বের বক্তব্য JPCতে স্পষ্ট করা হোক এই কেলেঙ্কারির সমস্ত বিষয়। ঠিক এই তদন্তের দাবিকে ধামা চাপা দিতেই বিজেপি সরকার মণীশ সিসোদিয়াকে কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই অসহযোগিতার ছুতোয় হাজতে পুরেছে গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি।" এঁদের আরও অভিযোগ, "বিজেপি আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে ১০ মাস ধরে জেলে বন্দি করে রেখেছে, আদালতে কোনও প্রমাণ হাজির না করতে পারা সত্বেও।"