কমিটি হাইকোর্টের(Calcutta High Court) কাছে নালিশ ঠুকেছিলো রাজ্যে ব্যবস্থাপনা নিয়ে। তথ্যসহ রাজ্য উত্তরে জানাল, ৭৯৯৩৮২ টাকা খরচ হয়েছে কমিটির সদস্যদের জন্য। কমিটির সদস্যদের সঙ্গে থাকা ব্যক্তিবর্গেরও থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করতে রাজ্য বিল মিটিয়েছে। হোটেল, গেস্ট হাইজের বিল-সহ হাইকোর্টে জমা পড়েছে সোমবার। ৭ সদস্যের কমিটির ভোট পরবর্তী 'হিংসা' রিপোর্ট একতরফা, অতিরঞ্জিত, মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি। কেন এমনটা রাজ্য বলছে তথ্য সহ ব্যাখা হলফনামার আকারে জানিয়েছে রাজ্য।
advertisement
১) শাসকের আইন চলে, আইনের শাসন নেই। এই সুপারিশ ওড়ালো রাজ্য। রাজ্যের যুক্তি, Protection of Human Rights Act.1993 মেনে কাজ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। আইনের ১৪(৫) নং ধারা ভাঙা হয়েছে। কমিটি প্রথমে অনুসন্ধান তথ্য দেবে এনএইচআরসি-কে। সেই তথ্য যাচাইয়ের পর NHRC সিবিআই কে দিয়ে তদন্ত বা অন্য কাউকে দিয়ে তদন্তের সুপারিশ করতে পারে। এক্ষেত্রে কমিটি সরাসরি এক্তিয়ার লঙ্ঘন করে সিবিআই সুপারিশ করেছে যা আইনবিরুদ্ধ কাজ। ২) এই রিপোর্ট সম্ভবত রাজ্যের অসংখ্য পুলিশ কর্মী এবং প্রশাসনিক সদস্যদের সম্মানহানি করতেই করা হয়েছে।
৩) রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবেই নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে কমিটির মেম্বারদের মধ্যে ৩ জনের বিজেপি যোগ রয়েছে। অনেকের উপর কেন্দ্রের সরাসরি প্রভাব রয়েছে। যাদের কাছ থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত আশা করা যায় না। ক) রাজীব জৈন (Rajiv Jain) কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আমলে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। এমনকি যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সেই সময় তিনি আহমেদাবাদের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো প্রধান ছিলেন। ৬ মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। ২০১৮ মেয়াদ শেষ হলেও কাকতালীয় ভাবে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত পদে থেকে যান।
খ) আতিফ রশিদ( Atif Rasheed: যাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে নামেই যুক্ত রয়েছে bjp. বিজেপির টুইটার হ্যান্ডেলের দায়িত্বে সামলেছেন বলে হলফনামায় দাবি রাজ্যের। দিল্লির পুরভোটে বিজেপি হয়ে লড়াই করেছেন।
গ) Smt Rajulbenl Desai: ২০১৭ সালে গুজরাটের বিজেপির প্রকল্প বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও তার দায়িত্ব সামলেছেন। ৪) ৫০ টি অভিযোগ ধরে ধরে কমিটির যুক্তি খারিজ রাজ্যের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত মনগড়া রিপোর্ট। রিপোর্ট কোন তথ্যোর ভিত্তিতে তার উল্লেখ নেই। রাজ্যের কাছে বাংলায় লিখে করা অভিযোগ, কমিটি দেখাচ্ছে ইংরেজিতে লেখা কমপ্লেন।
৫) বিজেপি ছাড়া অন্য কোনও রাজনৈতিক কর্মীর বাড়ি পরিদর্শনে যায়নি কমিটি সদস্যরা। সিপিএম, আইএসএফ, কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি যায়নি পরিদর্শনে কমিটি এটাই বোঝাতে চাইছে রাজ্য। জনস্বার্থ মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস এমনটাই জানান। ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার। সিবিআই সুপারিশ কী এরপরও মানবে হাইকোর্ট, উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ।
