২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারির পর ফের কলকাতায় পা রেখেছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে তিনি অত্যন্ত খুশি তা নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন কুমারস্বামী। উল্লেখ করেছেন তাদের দুই পরিবারের দীর্ঘ দিনের পরিচিতির বিষয়কে। চা-সিঙ্গাড়া-মিষ্টি সহযোগে বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কুমারস্বামীকে বলেছেন, বিজেপিকে হারাও। আগামী এপ্রিল মাসেই কর্ণাটক বিধানসভার নির্বাচন। সেই নির্বাচনে মমতার সমর্থন পেতেও আবেদন করেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে তৃণমূলের ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’-র স্লোগান দিয়ে যে সমাবেশ হয়েছিল তাতেও হাজির ছিলেন এইচ ডি কুমারস্বামী।
advertisement
আরও পড়ুন- রবিবার থেকেই আবহাওয়ার ফের বদল, আগামী ক’দিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস কোথায় কোথায়? জেনে নিন
গত সপ্তাহের শুক্রবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বৈঠক করতে এসেছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। গত, বৃহস্পতিবার ভুবনেশ্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেডি নেতা নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে। গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত করা হোক, সেখানেই বার্তা দেন দু'পক্ষ। ঠিক তার পরের দিন কলকাতায় নিজের বাসভবনে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবেগৌড়ার পুত্র এইচডি কুমারস্বামীর সঙ্গে বৈঠক করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ভারত গৌরব ট্রেনে এবার যাত্রা অরুণাচল প্রদেশে
২০২৪ সালের লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমশ সক্রিয় হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৪ সালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে বিজেপি বিরোধী জোট তৈরির চেষ্টা করছেন তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারপার্সন। একই সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন কংগ্রেসের সঙ্গে। লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে একক ভাবে লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে জাতীয় স্তরে সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়েই চলতে চায় তৃণমূল। তাই কলকাতায় দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাড়িতে এসে বৈঠক করে জোটবদ্ধ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেছেন অখিলেশ। নবীন পট্টনায়ক একসময় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র অংশ ছিলেন। এখন তিনিও বিজেপি শিবিরে নেই। তাই সেই নবীনকেও বিজেপি বিরোধী শিবিরে শামিল করতে উদ্যোগী হয়েছেন মমতা।