বুধবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কানু সান্যাল অত্যন্ত সিনিয়র লোক। তিনি ছিলেন নকশাল আন্দোলনের নেতা। তাঁর আদর্শ আমি সমর্থন নাই করতে পারি, কিন্তু ওঁর বাড়ি কেন দখল করা হবে?' একপরই স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, যদি ওঁর দখল হয়ে থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'রামপুরহাটের ঘটনাই ঘটত না', ছিল বড় গাফিলতি! প্রশাসনিক বৈঠকে মমতার নিশানায় কে?
প্রসঙ্গত, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ১৯৮৯ সাল থেকে টিনের চালার ছোট্ট বাড়িতেই থাকতেন কানু সান্যাল। সেই বাড়ির একদিকে ছিল পার্টি অফিস আর অন্যদিকে আন্দোলনের আঁতুরঘর। অভিযোগ, সেই স্মৃতি বিজড়িত বাড়ির পেছনের অংশই দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। সিপিআই(এমএল) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কানু সান্যালের সংগঠনের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক দীপু হালদার জানান, কানু সান্যালের বাড়ির জমি দখল হয়ে যাবে, এটা কিছুতেই মানতে পারছেন না তাঁরা।
আরও পড়ুন: কী কাণ্ড! তাপমাত্রায় জয়সলমেরকে হারিয়ে দিল ঝাড়গ্রাম! পার্থক্য শুনলে চমকে উঠবেন...
শিলিগুড়ি ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে নানা চক্রও কাজ করে চলেছে। বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কানেও পৌঁছেছে। এর আগেও বিষয়টি নিয়ে বারবার উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার কানু সান্যালের বাড়ির প্রসঙ্গেও সেই একই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন ওই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'জমি দখল করে ব্রিজ বানিয়ে নিচ্ছে। বিডিও, আইসি, এসপি-রা কি দাঁড়িয়ে দেখছে? কানে খবর যায় না আপনাদের? শিলিগুড়িতে নানারকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। জমি দখল ওখানে তো রুটিন হয়ে গেছে। যেই করুক, কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।''